চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১২ ০৮:১৮:২০ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১২ ০৮:১৮:২০

[starlist][/starlist]

বীর কন্ঠ ডেস্ক: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন আমাদের ওপর হামলা করেছিল, সেসময় আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। একসময় হানাদার বাহিনীরা আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং গণহারে হত্যা করেছিল।  ঠিক একইভাবে মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর দমন, নিপীড়ন শুরু করেছে। সেখানে তাদের  বাড়িঘড় জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদেরকে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিয়েছি। আমরা মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করছি, দমন ও নিপীড়ন বন্ধ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। এ বিষয়ে আমরা কমিটিও করে দিয়েছি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খাদ্য, আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যা করার দরকার আমরা সেটি করবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তাতে কি তাদের বিবেককে নাড়া দেয় না? একজনের ভুলে এভাবে লাখ লাখ মানুষ ঘরহারা হচ্ছে। আমরা শান্তি চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষের দেশ। সবার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি। সেখানে আরও ২/৫/৭ লাখ মানুষকেও খেতে দিতে পারবো।’

এ সময় তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন যারা যুবক তারা হয়তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। কিন্তু আমরা দেখেছি। তাই রোহিঙ্গাদের যেন কোনও কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

 

তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আমি জেনেছি যারা আশ্রয় নিতে এসেছেন তাদের অনেকেই অসুস্থ। তাদের দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা দেওয়া হোক।’

 

এ সময় রোহিঙ্গাদের যেন কোনও কষ্ট না হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে সেজন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,  ‘বেসরকরি সংস্থা বা অন্য কোনও সংগঠন রোহিঙ্গাদের  ত্রাণ বা সাহায্য সহযোগিতা করতে চাইলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে করতে হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোনও ধরনের বাণিজ্য করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *