চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

admin

মহানগরীর বড় পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের  পরামর্শ  সিএমপি কমিশনারের

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২১ ১৪:২১:২১ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২১ ১৪:২১:২১

বীর কন্ঠ ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগরীর বড় পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিএমপি’র সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদেরকে এ পরামর্শ দেন।

 

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ বছর মহানগর এলাকায় ২৩৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এবার নগরীর ২৩৩টি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় ৯০০ পুলিশ সদস্য ও আনসারের এক হাজার ৫৫৮ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশি নিরাপত্তাতো থাকবেই এর বাইরে পূজা উদযাপন কমিটিকে নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে বড় বড় প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর যন্ত্র, ফায়ার ফাইটিং যন্ত্র ও জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হবে। সম্ভব হলে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘পূজা উদযাপনের সময়ে নগরীতে মণ্ডপ কেন্দ্রীক মাদক, ছিনতাই এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান কার্যক্রম জোরদার, পুলিশি টহল বৃদ্ধি করা হবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ঊর্ধ্বতন অফিসার কর্তৃক নিয়মিতভাবে প্রতিটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে সর্বাত্মক সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

এর আগে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদনের জন্য সনাতন ধর্মাবলাম্বীদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিএমপি কমিশনার।

 

পূজা উদযাপন কমিটি নিজস্ব স্বেচ্চাসেবক টিম গঠনের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচিতি মূলক আইডি কার্ড অথবা নির্দিষ্ট টি-শার্ট পরিধাণ করতে হবে। কোনও কারণে যদি কাউকে তল্লাশি করতে হয়, তখন পুলিশের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকরাই তল্লাশি করবেন। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে।’

 

পুলিশ কমিশনার শারদীয় দুর্গা পূজার সময় বাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

 

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস.এম. মোস্তাইন হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মো. শওকত আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর ও পশ্চিম) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মো. মোখলেছুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) সৈয়দ আবু সায়েম, আনসার ও ভিডিপি’র প্রতিনিধিসহ সব থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।-

বাংলা ট্রিবিউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *