চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

ভোট শুরুর আড়াই ঘন্টার মাথায় বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে চলছে  কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২৪ ০৯:৩৪:১৩ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২৪ ০৯:৩৪:১৩

বীর কন্ঠ ডেস্ক : ভোট শুরুর আড়াই ঘন্টার মাথায় বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামে নব গঠিত কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকালে কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। নারী ভোটারদের তেমন উপস্থিতি নেই।

 

সকাল ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পরপরই বিএনপি সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মুহাম্মদ ওসমান সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, শাহমীরপুর ও জুলদার দুটি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলমের লোকজন।

 

পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট এসএম ফোরকানের বাড়ীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও গণহারে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়ানোর ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারম্যান ভাইসচেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রাথী।

 

এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মামুন মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফোরকান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মো. ওসমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্নে মীরজান শামীমা উপস্থিত ছিলেন।

 

লিখিত বক্তব্যে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এহসান এ খান বলেন, উপজেলার বিয়াল্লিশটি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যে সব কেন্দ্রে এজেন্ট ছিল সে সব কেন্দ্রেও এজেন্ট হুমকি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে। অনেক কেন্দ্রে সকাল থেকে বহিরাগত দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

 

তিনি আরো বলেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, রাতেই আমাদের বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসায় হামলা ও ককটেল বিষ্ফোলন করে তারা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে, এ নির্বাচন আমরা মানি না, নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনী তফশিল ঘোষনা করে সুষ্টু নির্বাচনেরও দাবি জানান এহসান খান।

 

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগের লোকজন বহিরাগতদের এনে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে, সকাল সাড়ে নয়টায় যেখানে ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকার কথা সেখানে ইউএনও উনাদের নিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। এ নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হচ্ছে না। আমরা এ নির্বাচন বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

 

এদিকে নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতি ২ কেন্দ্রে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ ইউনিয়নের ৪২টি নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিটিতে ৭জন পুলিশ, ১৩জন আনসার সদস্য এবং বিজিবি ও র‌্যাবের ৫টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে বলে জানান পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আবু সাঈদ।

 

নব গঠিত এ উপজেলার প্রথম নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী, বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট এসএম ফোরকান ও ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির রিজভী।

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলম, বিএনপির প্রার্থী হাজী মুহাম্মদ ওসমান, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা মো: মুছা ও ইসলামিক ফ্রন্টের নাসির আহমদ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বানেজা বেগম, বিএনপির প্রার্থী উম্মে মিরজান শামীমা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুন্নি বেগম প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন।

 

এবারের নির্বাচনে ৪২টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ জন ভোটার রয়েছে। তার মধ্যে পুরুষ ৫৩ হাজার ৫৯৯, মহিলা ৫৪ হাজার ২০০।

 

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়রে বলে জানান তিনি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন ধরণের অনিয়মের অভিযোগ পাননি বলে জানান এ নির্বাচনী কর্মকর্তা।

 

-পাঠক নিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *