চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

সাতকানিয়ায় মার্দাশা খালের ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশ: ২০১৭-১০-১৭ ০৩:৫১:০০ || আপডেট: ২০১৭-১০-১৭ ০৩:৫৪:২২

 

বীর কন্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মার্দাশা ও সোনাকানিয়াবাসীর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা মার্দাশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মার্দাশা খালের ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিকল্প আর কোনো পথ না থাকায় স্থানীয় অধিবাসীরা যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে ইউনিয়নের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত চেয়ারম্যান পাড়া, দ্বীপেরকুল পাড়া, এয়াজর পাড়া, ফকির মাওলানা পাড়া, খামার পাড়া, সাচি বেপারি পাড়া, নতুন পাড়া, মিয়ার পাড়া, জয়নগর, বড়ডেবা এবং সোনাকানিয়ার মঙ্গলচাদ পাড়ার ১০ হাজার অধিবাসীর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ভাঙা ব্রিজটি জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। ব্রিজের পিলার এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী কিছু যাতায়াত করতে থাকলে অচিরেই তা ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মার্দাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মার্দাশা খাল। খালের ওপর নির্মিত পাকা মার্দাশা খালের ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ। ব্রিজের পূর্বপার্শ্বের পাকা খুঁটির গোড়া ভেঙে গেছে ও খুঁটির গোড়া থেকে মাটি সরে গেছে। এলাকাবাসী যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করেছে বাঁশের সাঁকো। মাঝের পিলার ভেঙে বেঁকে গেছে। ব্রিজের দুই পাশের রেলিংও নেই। মার্দাশা খালটি খরস্রোতা হওয়ার কারণে ব্রিজের ২ তীর বর্ষা মৌসুমে বারবার ভেঙে যায়।

 

এ ব্রিজ দিয়ে স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা পায়ে হেঁটে মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাখীল আনোয়ারে রহমানিয়া মাদ্রাসা, সোনাকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বীপেরকুল এবতেদায়ী মাদ্রাসা, হযরত শাহ ফকির হেফজখানা ও এতিমখানা, সাতকানিয়া সরকারি কলেজে যাতায়াত করছে। তা ছাড়া পাহাড়ি এলাকার শীত ও বর্ষা মৌসুমের কৃষিপণ্য বাজারে ঝুঁকি নিয়ে মাথায় ও গাড়িতে করে এ ব্রিজ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

মার্দাশা এলাকার নিবাসী মোহাম্মদ এনাম জানান, ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয় অধিবাসী ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে। যে সড়কে ব্রিজটি অবস্থিত তা মার্দাশা ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক।

 

মার্দাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম. সেলিম চৌধুরী মার্দাশা খালের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ স্বীকার করে ইত্তেফাককে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় হতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য অনুমোদন আদায় করেছেন।

 

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলায়মান ইত্তেফাককে জানান, মার্দাশা খালের ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব খালের বাঁকটা সোজা করার জন্য ড্রেজার মেশিন বসিয়েছেন। খালের বাঁকটা সোজা করে দিলেই ওইখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সূত্র – ইত্তেফাক

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *