admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৪-২৯ ১১:২৭:৪১ || আপডেট: ২০১৮-০৪-২৯ ১১:২৭:৪১
সুজন দাশ, চট্টগ্রাম:
১৯৯১ সালের এই দিনে কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নেমে এসেছিল ভয়াবহ দুর্যোগ। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। নিহত হয়েছিল কয়েক লাখ মানুষ। ভেসে গিয়েছিল ফসলের ক্ষেত, লাখ লাখ গবাদি পশু। সেই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তা-বে কক্সবাজারের আট উপজেলা ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারাসহ উপকূলের হাজার হাজার গ্রাম ল-ভ- হয়েছিল। ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
ভয়াল সে স্মৃতি আজও কাঁদায় পুরো উপকূলবাসীকে। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। দুঃসহ সে স্মৃতি এখরও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে।
আজ থেকে ২৪ বছর আগে ১৯৯১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে দুঃস্বপ্নের মতো বয়ে গিয়েছিল এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। ২৯ এপ্রিলের সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে নিয়ে আবারও উপকূলীয় মানুষের কাছে দিনটি ফিরে এসেছে।
২৯ এপ্রিলের মধ্যরাতে আঘাত হানা প্রকৃতির নিষ্ঠুর কষাঘাত প্রচ- ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গিয়েছিল কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ দেশের ১৩টি উপকূলীয় জেলার শত শত ইউনিয়ন। ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২২৫ কিলোমিটার গতিবেগের প্রচ- ঘূর্ণিঝড় এবং ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দেশের উপকূলীয় এলাকা পরিণত হয়েছিল বিরানভূমিতে। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে মারা যায় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। যদিও সরকারি হিসাব মতে মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার। এতে লাখের উপরে প্রাণ হারিয়ে ছিল কক্সবাজার উপকূলীয় জনপদের। সম্পদহানি হয়েছিল ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। ২৯ এপ্রিল এলেই উপকূলীয় মানুষের কাছে বেদনাময় করুণ স্মৃতি নিয়ে দিনটি আতঙ্ক হয়ে ফিরে আসে।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের পর কক্সবাজার জেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে কুতুবদিয়া দ্বীপে ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের পর সামর্থ্যবান প্রায় মানুষ দ্বীপ ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
সেই ভয়াল স্মৃতি এখনো কাঁদায় উপকূলীয় এলাকার মানুষ গুলোকে।