admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৫-১৮ ০০:১৩:২৪ || আপডেট: ২০১৮-০৫-১৮ ০০:১৩:২৪
নূর হোসেন মামুন, কাপ্তাই , প্রতিনিধি :
জুয়েল চৌধুরী, কাউসার হোসেন সিদ্দিকি এবং আলম খান রাজু তিন বন্ধু। কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কেপিএম এলাকায় শৈশব কৈশোর কাটিয়েছে অনাবিল আনন্দে। তাদের বাবার কেপিএম এ চাকরির সুবাদে জন্ম এই সবুজ শ্যামল চন্দ্রঘোনা কেপিএম এলাকায়। ৩ জন যেনো একে অপরের আত্মা।
জুয়েল চৌধুরী কেপিএম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০০ সালে এসএসসি পাশ করে চট্রগ্রাম হাজী মহসিন কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করে ২০১৩ সালে জীবন জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান সুদুর দুবাইে। অারেক বন্ধু কাউসার হোসেন সিদ্দিকি ২০০১ সালে কেপিএম স্কুল এন্ড কলেজ হতে এসএসসি পাশ করে ২০০৫ সালে পাড়ি দেন দুবাইে। তিনি এরি মধ্যে দুবাইে এম ই এস গ্রান্ড হোটেলে থেকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। অারেক বন্ধু অালম খান রাজু কেপিএম স্কুল হতে ২০০১ সালে এসএসসি পাশ করে চট্রগ্রাম সাউদান বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিবিএ সম্পূর্ণ করে ২০১২ সালে পাড়ি জমান ওমানে।
বিদেশ যাওয়ার পরও ৩ বন্ধুর মধ্যে সবসময় কথা হতো, অালাপচারিতা হতো দেশে ফিরে কিছু একটা করার।অবশেষে ৩ জনই ফেরত অাসেন দেশের টানে, মাটির টানে জন্মস্থান কেপিএম এলাকায়। কিছু একটা করার জন্য নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করেন। অবশেষে তারা সিন্ধান্ত নেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসার মাধ্যমে তারা মানুষকে স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদান করবেন এবং জীবন জীবিকা নির্বাহ করবেন। এইভাবে ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর ব্যবসার প্রানকেন্দ্র রাঙ্গুনিয়া লিচুবাগান চৌধুরী টাওয়ারে চালু করেন রেস্টুরেন্ট” কাজুরা’।
কাউসারের নামের প্রথম প্রথম অক্ষর KA, জুয়েলের নামের প্রথম অক্ষর JU এবং রাজু নামের প্রথম অক্ষর RA থেকে তারা KAJURA নামটি পছন্দ করেন। এভাবে তিন শিক্ষিত যুবকের স্বপ্ন যাত্রা শুরু হলো।কারো সাহায্য ছাড়া নিজেরাই রেস্টুরেন্ট এর অভ্যন্তরকে পরিপাটি করেন। এই রেস্টুরেন্টে শুধু সেফ ছাড়া কোন কর্মচারী নেয়।৩ বন্ধু মিলে অত্যন্ত হাসিমুখে অর্ডার নেন এবং পরিবেশন করেন।মাঝেমধ্যে রান্নার কাজে সেফকে সহযোগিতা করেন।কথা হয় রেস্টুরেন্টের ৩ শিক্ষিত যুবকের সাথে। তারা বলেন বিদেশে পরিবার পরিজন অাত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব ছাড়া মন ঠিকে না। তাই অামরা সিদ্বান্ত নিলাম নিজের দেশে কিছু একটা করবো। এইভাবে অামরা KAJURA যাত্রা শুরু করি। অত্যন্ত অানন্দ মন নিয়ে প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে অাসা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করছি। অামরা বেশী লাভবান হতে চাই না। নিজেদের কাজ নিজেরাই করছি, নিজের দেশে করছি এটা অামাদের বড় অানন্দ। অামরা রাতদিন পরিশ্রম করছি হয়তো একদিন কাঙ্খিত ফল পাবো। তারা KAJURA কে একটি ব্রান্ড হিসেবে সারা বাংলাদেশে তুলে ধরতে চাই।
KAJURA তে খেতে অাসা কাপ্তাই উপজেলা চেয়্যারম্যান দিলদার হোসেন, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের উপ পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং, সাংস্কৃতিক কর্মী ঝুলন দত্ত ও রওশন শরীফ তানি জানান অত্যন্ত রুচিশীল পরিবেশে স্বল্পমূল্যে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের দিক দিয়ে এই রেস্টুরেন্টটি ইতিমধ্যে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছে। এই রেস্টুরেন্টে অাসা বিভিন্ন গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এই রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহন করে যথেষ্ট তৃপ্তি লাভ করে থাকে।বিশেষ করে পরিবেশনকারী ৩ শিক্ষিত যুবকের অাচার অাচরণ, পরিবেশনায় মুগ্ধ। বিদেশ ফেরত ৩ শিক্ষিত যুবকের স্বপ্ন পুরণের যাত্রা সফল হউক সকলের সেই প্রত্যাশা।