বীর কন্ঠ ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর
প্রকাশ: ২০১৮-০৯-১৭ ০০:১৭:৪১ || আপডেট: ২০১৮-০৯-১৭ ০০:১৭:৪১
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আপন মামীকে গলা কেটে হত্যার অভিযুক্ত মূল আসামী মো. কামাল (৩৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ কামাল উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের পশ্চিম সরফভাটার আবুল কালামের পুত্র। আসামী কামাল দীর্ঘ ৭ বছর ওমানে পলাতক ছিল বলে জানায় পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ইমতিয়াজ এম এ কে ভুইঞা বলেন, ‘ দুই হাজার এগার সালে মামীর পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে সরফভাটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধারালো কিরিচ দিয়ে গলা থেকে শরীর আলাদা করে হত্যা করেছিল কামাল। এরপর সে কৌশলে ওমানে পালিয়ে গিয়েছিল। সে সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তার সহযোগী মো. মানিক। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ গিয়ে মামীর শরীর ও মাথা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ওই নারীকে হত্যা করে মাথা এক জায়গায় ও ধড় (শরীর) অন্য জায়গায় গর্ত করে লুকিয়ে রেখেছিল। আসামী চট্টগ্রাম বিচারিক আদালতে জবানবন্দিতে কামাল মামীকে হত্যা করে, লাশ গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে মানিক সহযোগিতা করে বলে আদালতের কাছে স্বীকার করে।”
থানার পুলিশ জানায়, ২০১১ সালে আপন মামীর পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ হয় কামালের সাথে। মামী তার পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পীড়াপিড়ি করলে সে তাকে বলে, তার টাকা দিয়ে সরফভাটায় জায়গা কিনে গাছ বাগান করেছে। মামী সে বাগান দেখতে চাইলে কামাল তাকে সরফভাটার গভীর বনে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কামরাঙ্গা গাছের নিচে বসিয়ে কামরাঙ্গা খেতে দেয় মামীকে। মামী কামরাঙ্গায় কামড় দেওয়ার সাথে সাথে পিছন থেকে কামাল ধারালো কিরিচ দিয়ে এক কোপে মামীর গলা ধর থেকে আলাদা করে দেয়। ঘটনার পর দীর্ঘদিন ধরে ওমানে পালিয়ে থাকা কামাল মাঝখানে একবার দেশে আসলেও একমাস থেকে আবার চলে যায়। অবশেষে ঘটনার দীর্ঘ ৭ বছর পর পুলিশ ওমান থেকে দেশে ফেরার পথে কামালকে গ্রেপ্তার করে।