চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

আবদুল হাকিম রানা পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় পরিবহন ধর্মঘটে জনজীবন অচল, পথে পথে বাঁধা : কর্মমুখী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে পৌঁছাতে পারেনি গন্তব্যে

প্রকাশ: ২০১৮-১০-২৮ ২৩:৩১:০৯ || আপডেট: ২০১৮-১০-২৮ ২৩:৩১:০৯

আবদুল হাকিম রানা, বীর কন্ঠ : সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন সহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের আহুত ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের প্রথম দিনে পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম অচল হয়ে পড়ে। এতে আজ রবিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভোগান্তির পাশাপাশি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দূরপাল্লা ও মাঝারি আকারের যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারেনি। মাঝে মধ্যে সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল করলেও এতে বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা বাঁধা প্রদান করায় বার বার যাত্রীদেরকে পরিবহন পাল্টে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। এতে বিশেষ করে অফিসগামী ও ফেরৎ যাত্রী সহ স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষার্থীদেরকে মারাত্মক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। পটিয়ার যাত্রীদেরকে বাদামতল, শান্তির হাট ও মইজ্জারটেক পর্যন্ত কয়েকবার সিএনজি অটো রিক্সা পরিবর্তন করে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে কর্ণফুলী ৩য় সেতু হেটে পারাপার হতে হয়। আবার অনেককে নৌকায় চড়ে কর্ণফুলী নদী পার হতে দেখা যায়।

এডভোকেট খুরশিদ আলম জানান, আমি শান্তির হাট থেকে ব্রীজ ঘাটা পর্যন্ত ২টি সিএনজি পাল্টে নৌকায় চড়ে কর্মস্থলে এসেছি। এছাড়াও ব্যাংকার নুরুল আবছার জানান, শুধু সাধারণ যাত্রী নয় চাকুরীজীবী ও শিক্ষার্থীদেরকেও এ ধর্মঘটে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও ধর্মঘটের সুযোগে সিএনজি অটো রিক্সা চালকরা ৪/৫ গুন অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এছাড়াও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়তে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। নুরুল আলম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমি পটিয়া সদর থেকে হুলাইন ছালেহ নুর কলেজে যাওয়ার জন্য বের হয়ে দুটি সিএনজি পাল্টে কলেজে আসতে পেরেছি। দিনভর বাস সহ বড় কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় জনজীবন এক প্রকার অচল হয়ে পড়ে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

জানা যায়, বাস চালক পরিবহন শ্রমিকরা সারাদেশে আজ থেকে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট আহবান করেছে সড়ক পবিহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও ৮ দফা দাবি আদায়ের নিমিত্তে। তারা দাবি করেন সড়ক দূর্ঘটনার সব মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে। শ্রমিকদের অর্থদন্ড ৫ লাখ টাকার স্থলে ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। সড়ক দূর্ঘটনার জটিলতর মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ৮ম শ্রেণীর স্থলে ৫ম শ্রেণী করতে হবে। কাগজপত্রে চেকিংয়ের নামে পুলিশ হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ওয়ায়েট স্কেলে পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি কারাদন্ডের বিধান বাতিল করতে হবে। বর্তমানে ধর্মঘট আজ সোমবারও অব্যাহত থাকবে বলে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন। তবে দাবি না মানলে ধর্মঘটের সময় আরো বাড়বে বলে ও তারা হুমকি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *