চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আওয়ামীলীগের সফলতার কারিগর ড. নদভী

প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৬ ১৩:১২:০৩ || আপডেট: ২০১৮-১১-০৬ ১৩:১২:০৩

 

জিহানুর রহমান চৌধুরী-

মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনের বটবৃক্ষ হিসেবে পরিচিত প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু মিয়ার হাত ধরে ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি’র রাজনৈতিক পথচলা। ড. নদভীর বড় ভাই ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত আবু জিয়া মুহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী। যার কারণে পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনে রাজনীতি করেন ড. নদভী।

শিক্ষা ও শিক্ষকতার জীবনে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে উঁচু মানের ইসলামিক স্কলার হিসেবে দেশে-বিদেশে খ্যাতির শীর্ষে পৌছেন ড.আবু রেজা নদভী।মুসলিম বিশ্বের সংগঠন ও,আই,সির সদস্য ভুক্ত এনজিও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন। আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে শত শত কোটি টাকার জনকল্যানমুলক কাজ করে আরব বিশ্বের কাছে সচ্ছতা ও জবাব দিহিতার অপূর্ব নজীর স্থাপন করে সবার দৃষ্টিতে পড়েন প্রপেসর ড.আবু রেজা নদভী এমপি।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া’য় ১৯৯৬ সাল থেকে দুই যুগের অধিক সময় আর্থ-মানবতার সেবায় সাধারণ দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে থেকে দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা বিস্তার ও ধর্মীয় উন্নয়নে অভূতপূর্ব ভুমিকা রেখে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাধারন মানুষের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হন তিনি।

পারিবারিক সূত্র ধরেই, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ড. নদভীর গভীর সম্পর্ক। বড় ভাই আবু জিয়া মুহাম্মদ শামসুদ্দীন চৌধুরী ১৯৬৬-১৯৬৮ সালে সাতকানিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৭২-৭৪ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, পরবর্তীতে যুবলীগ, আওয়ামীলীগের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন-সহ ১৯৯১সালে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নৌকা প্রতিকের নির্বাচন,১৯৯৬ সালে মাঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরীর নির্বাচনসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আবু জিয়া মুহাম্মদ শামসুদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে নদভী পরিবারের ভুমিকা ছিল অনন্য

সে সূত্র ধরে চৌকষ প্রতিভার অধিকারী ড.আবু রেজা নদভী বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর দৃষ্টি আকর্ষন হয়। তিনি ড.আবু রেজা নদভী’কে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার নৌকার কান্ডারী হতে অনুপ্রাণিত করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। ১৯৯৬, ২০০৬, ১/১১, ২০০৮ সহ বিভিন্ন সময়ে রাজপথে ছিলেন। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে তৎকালিন সমসাময়িক জাতীয় নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতায় একজন সমাজ সেবক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে দল ও সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হন ড.আবু রেজা নদভী।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে কুয়েত ও আরব আমিরাতে রাজকীয় সফরের সৌভাগ্য লাভ করেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য হয়ে কোপেন হেগেন জলবায়ু সম্মেলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সম্মেলনসহ বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমে ভুমিকা রাখেন।

যারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ড.আবু রেজা নদভী’কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সহিংসতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতের দূর্গহিসেবে খ্যাত সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতায় ১লক্ষ ৫ হাজার ভোটে বিজয়ী হন তিনি। ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় এমপি হিসেবে তিনিই গৌরব অর্জন করেন। এ পাঁচ বছরে আওয়ামী রাজনীতির ভিত্ত মজবুত করনে এ অঞ্চলে।

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নৌকাকে সাধারন মানুষের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলেছেন। দলীয় রাজনীতিতে বিপ্লব ঘটিয়ে ৪৩ বছরের ইতিহাস পাল্টে দেন। শুধু তাই নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সহযোগিতায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে উন্নয়নের মহাসড়কে রুপান্তরিত করেন। গত পাঁচ বছরে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া যেন শান্তির জনপদে পরিনত হয়েছে, গাছ কাটা ,বাঁশ কাটা, হানাহানি, মারামারি বন্ধ, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনসহ প্রসাশনের সচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির মুলুৎপাটনে ভুমিকা রাখেছেন তিনি। প্রতি মুহুর্তে জনগনের পাশে থেকে সর্বসাধারণের হৃদয়ের নেতায় পরিণত হন। উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় দিবস ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতি, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সর্বস্তরের অলিতে,গলিতে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাতকানিয়া-লোহগাড়ায় আজ নৌকার জয়গান, সাধারন মানুষ নৌকায় ভোট দিতে প্রস্তুত।

পরিশেষে একটি কথায় বলব, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি চলন্তবাস, বাসটির গন্তব্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্টা করা, সুতরাং যে যে পয়েন্ট থেকে বাসে উঠুক না কেন যাত্রী নয় বলে ঠেলে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা সংকীর্ণ মন-মানসিকতারই বহিঃ প্রকাশ। অন্যজনকে ছোট করার চেষ্টা যারা করবে, নিজেরাই সবার কাছে ছোট হবে।জননেত্রী শেখ হাসিনার চোখের ভাষা পড়ার যোগ্যতা যাদের নেই, নোংরামিকে যারা পেশা হিসেবে নিয়েছে তারাই রাজনৈতিকভাবে বিকারগ্রস্থ। নৌকাকে এগিয়ে নেওয়ার রাজনীতি না করে যারা নৌকা নিয়ে বানিজ্য করনের রাজনীতি করে তাদের জবাব সময় দিবে। রাজনীতিতে উদারতায় ধর্ম, উদারতায় মহত্ব, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হউক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *