চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

আলাউদ্দিন ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

অলির আসনে সুব্রত চৌধুরীকে চায় গণফোরাম

প্রকাশ: ২০১৮-১১-১৪ ১১:০৪:১৯ || আপডেট: ২০১৮-১১-১৪ ১১:০৪:১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে প্রার্থী করার কথা জানিয়েছে গণফোরাম। যদিও এ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য হন ২৩ দলীয় জোটের অন্যতম দল এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম। এছাড়া প্রার্থী হিসেবে বিএনপি’র বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর নামও শোনা যাচ্ছে। তাই এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থিতা নিয়ে শরীক দলগুলোর মধ্যে জটিলতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে নির্বাচনের বিষয়ে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের অন্তত তিনটি আসনে গণফোরামের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে চট্টগ্রাম-১৪। এ আসনে আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এছাড়া চট্টগ্রাম-১ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) তে দলের প্রার্থী জানে আলম ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) থেকে আব্দুল মোমিন চৌধুরী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘চন্দনাইশ থেকে নির্বাচন করার বিষয়ে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে ক্ষেত্রে কর্নেল অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৩ থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তবে সবকিছু ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে। যেখানে যাকেই প্রার্থী করা হোক, জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থীই গুরুত্ব পাবেন মনোনয়নের ক্ষেত্রে।’
২০০৮ সালে আসন পুনঃবিন্যাসের সময় চট্টগ্রাম-১৩ আসনটি ভেঙে চন্দনাইশ উপজেলা ও সাতকানিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি। এ আসনে চারবার সংসদ সদস্য হন অলি আহমদ বীর বিক্রম। ২০০৮ সালেও এ দুটি আসন থেকেই প্রার্থী হন তিনি। আসন্ন নির্বাচনেও ২৩ দলীয় জোটের হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে গতকাল (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া) আসনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন অলি আহমদ। এছাড়া এ আসনে জোটের শরীক জামায়াতেরও প্রার্থী আছে। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে শাহজাহান চৌধুরী এবং ২০০৮ সালে আ ন ম শামসুল ইসলাম জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে বিএনপিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির পরিবার ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন জিল্লুর করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে।লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘কর্নেল অলি আহমদ বাংলাদেশের যেখান থেকে ইচ্ছা নির্বাচন করতে পারেন। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে তিনি নির্বাচন করছেন এটা নিশ্চিত। এ বিষয়ে ২৩ দলীয় জোটের মধ্যে প্রাথমিক কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে।’
চট্টগ্রাম-১৩ তে অলি আহমদ নির্বাচন করবেন কিনা প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. রেদওয়ান আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম-১৩, চট্টগ্রাম-১৪ এ দুই আসনেই অলি সাহেবের নির্বাচন করার জোড় সম্ভাবনা রয়েছে। আরও সপ্তাহ খানেক সময় গেলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট এ বিষয় নিয়ে বসবে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, রোববার (১১ নভেম্বর) দুপুরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, নিজেদের দলীয় প্রতীক ছাতা ও বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ- এই উভয় প্রতীকেই নির্বাচন করতে চায় এলডিপি। তবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত অপর চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক রাজনৈতিক দল হিসেবে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য্য নিয়েই নির্বাচন করবে গণফোরাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *