চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

রফিকুল আলম ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

আনন্দে কাঁদলেন এতিম সাজ্জাদ ও মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ! ৩ শত ৬০ পরিবার পেল স্বপ্নের বসত ঘর ফটিকছড়িতে

প্রকাশ: ২০১৮-১২-০৫ ১৮:২০:৩৭ || আপডেট: ২০১৮-১২-০৫ ১৮:২০:৩৭

রফিকুল আলম,ফটিকছড়ি :

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ২ টি পৌরসভা ও ১৮ টি ইউনিয়নের ৩ শত ৬০ টি  দু¯’ পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই স্বপ্নের বসত ঘর পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন মর্ককর্তার অফিসের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রতিটি পরিবার পেয়েছে বারান্দ ও টয়লেট সহ পাকা পিলারের চর্তুদিকে টিন দিয়ে তৈরী করা সাড়ে ১৫ – সাড়ে ১৬ ফুটের বসত ঘর। এসব ঘর গুলোতে উপকারভোগীরা বসবাস করছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,গত মার্চ- এপ্রিল মাসের শেষ দিকে  ঘর গুলো নির্মানের জন্য বরাদ্দ আসে। বরাদ্দ আসার পর পরই বাস্তবায়নের  কাজ শুরু হয়। ঘর পাওয়া দু¯’ পরিবার গুলো ঘুরে দেখা যায়, ঘর পেয়ে তাদের আনন্দের সীমা নেই। পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে জাহেদা বেগম বলেন, অনেক দিনের আসা ছিল একটু মাথা গোঁজার ঠাইঁ পাব আজ পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে হিসেবে মরহুম বাবা’র জন্য ও প্রধানমন্ত্রী সহ মুক্তিযোদ্ধে সকল শহীদের জন্য দোয়া করছি।

এদিকে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে ঘর পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নবম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। অশ্রু ভেজা চোখে বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগে বাবা আমাকে ও আমার মা’কে ফেলে চির বিদায় নেয়। তখন ও বসবাস করতাম আরেক জনের পরিত্যক্ত ঘরে। আজ মা’কে নিয়ে অন্তত এক সাথে থাকতে পারব। জানি না এ পৃথিবীতে আমার মতো আর কেহ আছে কি না;আমার লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছে পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও ¯’ানীয় কাউন্সিলর রফিকুল আলম চৌধুরী। আশা করি এ ঘর থেকেই আমি সু শিক্ষায় শিক্ষত হবো। তাছাড়া ঘর পেয়ে কামিনী বালা, ফাতেমা বেগম,লায়লা বেগম জরিনা বেগম ও আয়ুব আলী বিনামূল্যে ঘর পেয়ে খুবই আনন্দিত।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন,উপজেলার ঘর গুলোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপকারভোগিরা বসবাস করছে।

তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায় বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ,ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়ে  ৩৬০টি অসহায় পরিবার  ঘর পেয়েছে, তারা এখন খুশি। তবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে যাদের ভিটি আছে ঘর নেই, এধরনের পরিবার গুলোকে পর্যায়ক্রমে ঘর দেওয়ার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *