প্রকাশ: ২০১৯-০১-০১ ১২:৫৪:২২ || আপডেট: ২০১৯-০১-০১ ১২:৫৪:২২
বিনোদন ডেস্ক : উড অভিনেতা কাদের খান। গতকাল সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় কানাডার একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন কাদের খানের ছেলে সরফরাজ।
চার মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কাদের। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়াও হয়েছিল। রেগুলার ভেন্টিলেটর থেকে এক সময়ে তাঁকে বিশেষ ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করা হয়।
বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে সিনেমা জগতে। কানাডায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ছেলের সঙ্গে থাকতেন কাদের খান। কিছুদিন আগেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রবীণ এই অভিনেতার।
তার ছেলে সরফরাজ জানিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার সফল হলেও শারীরিক দুর্বলতার কারণে হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।প্রোগ্রেসিভ সুপ্রানিউক্লিয়ার পলসি রোগে আক্রান্ত ছিলেন অভিনেতা। বার্ধক্যজনিত এই অসুখে হাড়ের ক্ষয় হয়, হাঁটাচলার ক্ষমতা কমে যায়। স্মৃতিভ্রংশের সমস্যাও দেখা দেয়।
১৯৭৩ সালে ‘দাগ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ হয় কাদের খানের। ছবিতে ছিলেন রাজেশ খন্নাও। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ৩০০টির কাছাকাছি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে পরিচালক, চিত্রনাট্যকারের ভূমিকাও পালন করেছেন। ২৫০টির বেশি ছবিতে সংলাপ লিখেছেন তিনি।
রণধীর কপূর-জয়া বচ্চন অভিনীত ‘জওয়ানি-দিওয়ানি’ ছবির সংলাপ ছিল বিখ্যাত। কাদেরই লিখেছিলেন এই ছবির চিত্রনাট্য। মনমোহন দেশাই ও প্রকাশ মেহরার সঙ্গে প্রচুর কাজ করেছেন কাদের।‘ধরমবীর’, ‘দেশপ্রেমী’, ‘কুলি’, ‘গঙ্গা-যমুনা,সরস্বতী’, ‘সুহাগ’, ‘পরভরিশ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি সমালোচকদের।
১৯৩৭ সালে আফগানিস্তানের কাবুলে জন্মেছিলেন কাদের খান। পরবর্তীতে থিয়েটার থেকেই অভিনয়ের জগতে পা রাখেন। অভিনয় জগতে প্রবেশ করার আগে কাদের খান মুম্বইয়ের একটি কলেজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ছিলেন কাদের খান।