চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ের নূর নবীর ছাদ বাগানে শোভা পাচ্ছে নানা ফুল ফল সবজি

প্রকাশ: ২০১৯-০১-১২ ০০:৪১:২৯ || আপডেট: ২০১৯-০১-১২ ০০:৪১:২৯

এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মাছিমের তালুক গ্রামের নূর নবী বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন নানা রকম ফুল, ফল ও সবজির বাগান। দীর্ঘদিন তিনি কাটিয়েছেন প্রবাস জীবন। দেশে ফিরে নিজের বাড়ির ছাদে শখের বসে গড়ে তুলেছেন নানা প্রজাতির ফুল, ফল ও সবজির বাগান। তাঁর এ বাগানের আয়তন ১৮শ বর্গফুট। জানা গেছে, ২০১৮ সালের প্রথম দিক থেকে বাড়ির ছাদে বাগান গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন নূর নবী। প্রথমে কয়েকটি টবে দেশি প্রজাতির ফুলের চারা লাগিয়ে বাগানের কাজ শুরু করেন।

এরপর পাশ্ববর্তী জেলা ফেনী ও স্থানীয় বিভিন্ন নার্সারী থেকে উন্নত বিভিন্ন জাতের ফল ও সবজির চারা সংগ্রহ করে তা রিং টবে লাগিয়ে মাত্র ৯ মাসে সফলতার নাগাল পেয়েছেন। এখন তাঁর বাগানে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফুল, ফল ও সবজি। যাতে ফলন বেশ ভালো। স্থানীয় খৈয়াছড়া ইউনিয়নে নূর নবীর বাড়ির ছাদে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর তৈরি বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে নানা প্রজাতির ফুল, ফল ও সবজি। বিশেষ করে বারি-১ মাল্টা, ডোরাকাটা মাল্টা, চায়না মাল্টা, পাকিস্তানী ডালিম, পেয়ারা, কমলা, লেবু, জাম্বুরা, ১২ মাসি আম, বারি-১৮ আম, আমড়া, লিচু, জাম, জামরুল, সফেদা। ফুলের মধ্যে আছে ডালিয়া, নয়নতারা, নয়নজোরা, মল্লিকা, পাতাবাহার। এছাড়া সবজির মধ্যে রয়েছে বেগুন, মরিচ, টমেটো, সবজি মরিচ, ধনে পাতা, তেজপাতা ও শিমের চাষ। প্রবাসী নূর নবী জানান, আমার ছাদ বাগানে মোট ৬১ রকমের ফল, ফুল ও সবজির আবাদ রয়েছে।

আমার উপর্জনের টাকা দিয়ে ধীরে ধীরে আমি এ বাগান গড়ে তুলেছি। আমাকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস। আমি ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। আগে আমাকে প্রতিনিয়ত ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হতো। এখন বাগানে কাজকর্ম করার কারণে আর আমাকে ইনসুলিন নিতে হয় না। নূর নবী আরো জানান, আমার বাগানের বিষয়টি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসকে জানানো হলে তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। বর্তমানে কৃষি অফিসের পরামর্শ মতে আমার গ্রামে আরো কয়েকটি বাড়িতে ছাদ বাগান গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে গেছে। নূর নবীর ছাদ বাগানের বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, এ ছাদ বাগানে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।

শুধুমাত্র পরিবারের ব্যবহৃত চা পাতা, তরকারির ফেলে দেয়া অংশ ও ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে এ ধরনের বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলা এলাকায় মোট ৬৩টি ছাদ বাগান গড়ে উঠেছে। এগুলো সরকারের সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় কৃষি বিভাগ দেখবাল করে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যারা ছাদ বাগান করতে আগ্রহী আমরা তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দি। বিশেষ করে কিভাবে রিং বসাতে হয়, ছাদের কোন দিকে কোন গাছ বসাতে হবে, কোন প্রকারের গাছ লাগানো যাবে বা যাবে না এগুলোর ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমরা এটা নিয়ে বেশ কাজ করে যাচ্ছি। ছাদ বাগানের জন্য আলাদা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *