চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই

প্রকাশ: ২০১৯-০১-২৩ ০১:০৮:৫৬ || আপডেট: ২০১৯-০১-২৩ ০১:০৮:৫৬

নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই। ২২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে আফতাব নগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

২২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে এ তথ্য জানান শিল্পীর ব্যক্তিগত সহকারী রোজেন।

রোজেন বলেন, ‘স্যার ভোর সোয়া ৪টার দিকে মারা গেছেন। এর আগে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে জানান, ‘‘তাড়াতাড়ি বাসায় আসো, আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।’’ তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি স্যারের বাসায় যাই। পরে মহাখালীর রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) নিয়ে যাই।’

চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে সাড়ে ৫টার দিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান রোজেন।

গত প্রায় এক বছর ধরে নানা অসুস্থতায় ভোগা এই সুরকারের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাকে সকাল সোয়া ছয়টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা গেছেন।

২০১৮ সালের মাঝামাঝি বুলবুলের হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর বুলবুলকে ভর্তি করা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা বুলবুলের বাইপাস সার্জারি না করে শরীরে রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।

তখন রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. অধ্যাপক আফজালুর রহমানের অধীনেই বুলবুলের শরীরে দুটি স্টেন্ট (রিং) স্থাপন করা হয়।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায়। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বুলবুল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাইফেল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ স্মৃতি বিস্মৃতি নিয়ে বহু জনপ্রিয় গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন।

‘এই দেশ আমার সুন্দরী রাজকন্যা’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেবনা’- এমন বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা এই শিল্পী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *