চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১ মে ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

শ্বাশুড়ি-জামাইর পরকীয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলাই ছেলেকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্ঠা

প্রকাশ: ২০১৯-০৮-২৯ ০০:৫০:৩৫ || আপডেট: ২০১৯-০৮-২৯ ০১:০০:০৩

নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক মায়ের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে ফলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূলত জামাই-শাশুড়ির পরকীয়ায় কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত মা ও মেয়ের জামাই আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মা উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকার বাসিন্দা ও মেয়ের জামাই আবদুল্লাহ গাইবান্ধা সদর থানার ভেরাডাঙ্গা এলাকার ভবেশ বর্মনের ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলাবো পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শফিক আহম্মেদ বলেন, আবদুল্লাহ আগে হিন্দু ছিল। তার নাম ছিল সঞ্জয় বর্মন। সে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের বাণিজ্যমেলার নির্মাণকাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিল। পরে তার সঙ্গে স্থানীয় এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ওই নারী সঞ্জয়কে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায়। তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আবদুল্লাহ। পরে ওই সম্পর্ক আরও জোরালো করতে ওই নারী তার মেয়েকে আবদুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে দেন।

ওই নারীর স্বামী চা-দোকানি। স্বামীর অনুপস্থিতিতে মেয়ের জামাই আবদুল্লাহর সঙ্গে বিভিন্ন সময় অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হতো ওই নারী। তাদের এ পরকীয়া সম্পর্ক স্বামীও টের পেয়ে যায়।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জামাই-শাশুড়ির অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে ছেলে। এর জেরে মা তার ছেলেকে আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ কাজে মাকে সহযোগিতা করে পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল্লাহ।

পরে বিষ মিশ্রিত আপেল খেয়ে ছেলে অসুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে ছেলেকে বিষ খাইয়ের হত্যার চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।

এরপর ছেলে কিছুটা সুস্থ হলে তার জবানবন্দিতে মা ও বোন জামাই আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়া সম্পর্ক ও হত্যাচেষ্টা কথা স্বীকার করেছেন মা ও মেয়ের জামাই।

এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *