চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

কর্ণফুলীর বোর্ড বাজার সড়কে হেঁটে চলা দায়

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-০৭ ২৩:৫৬:৫০ || আপডেট: ২০১৯-০৯-০৭ ২৩:৫৬:৫৭

জাহেদুল হক, আনোয়ারা :
কর্ণফুলী থানায় সেবা নিতে আসামানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম বোর্ড বাজার সড়ক।অবস্থান উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সৈন্যেরটেক হতে জুলধা ইউনিয়নের জামতল পর্যন্ত। প্রায় তিন কিলোমিটার এ সড়কে খানাখন্দক ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাদা পানি মাড়িয়ে হাঁটাচলা করাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা। এই এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়াটাও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সড়কে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়,উপজেলার সৈন্যেরটেক হয়ে কর্ণফুলী থানা,বোর্ড বাজার,মইজ্জ্যারটেক,ব্রিজঘাট,খুইদ্দ্যারটেক,আলী হোসেন মার্কেট,জুলধা পাইপের গোড়া, গোয়ালপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। বিভিন্নশিল্প প্রতিষ্ঠানের মালামালবাহী শত শত ট্রাক ছাড়াও ছোট-বড় গাড়ির চলাচল এ সড়ক দিয়ে। কিন্তুকয়েক বছর ধরে এ সড়কে খানাখন্দ হয়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যে স্থানীয়রা স্ব-উদ্যোগে সড়কটি সংস্কার করলেও সংশ্লিষ্টদের তদারকি নেই।গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ সড়কে কাদাপানিতে চলাচলে লোকজনের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলার সৈন্যেরটেক থেকে সড়কটি চলে গেছে জুলধা ইউনিয়নের জামতলের দিকে। কার্পেটিং করা এ সড়কটি দেবে নিচু হয়ে গেছে। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় পরিণত হয়েছে। মানুষকে জুতা হাতে নিয়ে কাদা মাড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে। আর গাড়ি চলছে থেমে থেমে হেলে-দোলে।
কর্ণফুলী থানায় সেবা নিতে আসা মো.সেলিম উদ্দিনবলেন,সামান্য বৃষ্টি হলেই যানবাহন চলাচলে সমস্যায় পড়তে হয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালির জন্যও এ সড়কে হাঁটা যায় না। পায়ে হেঁটে এ সড়কে চলাচল করা দুষ্কর। গাড়ি করে চলাচল করতে গেলে সেখানে গর্তে আটকে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
অটোরিকশা চালক ফারুক হোসেন জানান,সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হওয়ায় অনেক সময় গাড়ি আটকা পড়ে। এ সময় যাত্রী নামিয়ে গাড়ি ঠেলে চালু করতে হয়। পনের মিনিটের দুরত্বের পথ যেতে সময় লাগে এক ঘন্টা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, সড়কটি পরিদর্শন করে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেসড়কটির সংস্কার কাজকরা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *