চট্টগ্রাম, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

শফকত হোসাইন চাটগামী বাঁশখালী প্রতিনিধি

প্রাথমিক শিক্ষাটা হচ্ছে মূল শিক্ষার মাপকাঠি : বাঁশখালীতে জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৪ ২৩:১৪:১১ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৪ ২৩:১৪:১৮

শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী:

শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নত হতে পারেনা, প্রাথমিক শিক্ষাটা হচ্ছে মূল শিক্ষার মাপকাটি, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আসল শিক্ষক হচ্ছেন মা। মা’ই পারেন তার শিশুকে উজ্জল ভবিষৎ সম্ভাবনাময় গড়ে তুলতে। আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) শনিবার দুপুরে বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মানসন্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া রোধকল্পে অভিভাবক সমাবেশ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জেলা প্রশাসক বৃত্তি প্রদান ও শিক্ষা উপকরণ অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইলিয়াস হোসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তারের সভাপতিত্বে ও পালেগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবলী দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালীব সাদলী,
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী,সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামাল উদ্দীন।উদ্ভোধনী বক্তব্য দেন শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোতোষ দাশ প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, আপনার সন্তান জিপিএ পেলো কিনা, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলো কিনা এসব দেখবেন না। অল্প বয়স থেকেই প্রতিটি শিশুকে নৈতিকতা শিক্ষা দিন। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নত হতে পারেনা, প্রাথমিক শিক্ষাটা হচ্ছে মূল শিক্ষার মাপকাটি, এই ছোট্ট ছোট্ট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আসল শিক্ষক হচ্ছেন তার মা। মা’ই পারেন তার শিশুকে উন্নত শিক্ষায় শিক্ষত করে গড়ে তুলতে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার সন্তান কি করছে লেখা পড়া টিক টাক মত করছে কিনা,কোথায় যাচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব আপনার, শিক্ষকদের উপর ভরসা করে বসে থাকলে চলবেনা,শিক্ষকদের পাশাপাশি আপনাকেই শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
টাকার অভাবে কোনো সন্তানের পড়ালেখা যেন বন্ধ না হয় সেদিকে মায়েদের নজর দিতে হবে। আপনাদের ছেলেমেয়েদের অদূর ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে। তবে এসব ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকায় অপরিসীম। এই প্রাথমিক শিক্ষাটাই হচ্ছে মূল।একজন প্রকৃত মা-ই পারেন তার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে। শিক্ষকদের উদ্দ্যোশে তিনি বলেন,শিক্ষার্থীদের পড়ার ফাঁকে ‘মিড ডে মিল’ প্রদান একটি আধুনিক ধারণা। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হয় এবং পড়ালেখায় আগ্রহী হয়ে উঠে। এতে শিক্ষার হার বাড়ে। সবার সহযোগিতা পেলে সব উপজেলায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য শিগগির ‘মিড ডে মিল’ চালু করবে জেলা প্রশাসন।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি বিভিন্ন স্কুলের ১০০ জন গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নগদ এক হাজার টাকা জন প্রতি উপবৃত্তি ও ১০০ শিক্ষির্থীদের মাঝে ব্যাগ বিতরণ করেন।

পরে পাশ্বর্বতী পূর্ব জলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক ডিজিটাল শ্রেনী উদ্ভোধন শেষ উত্তর নাপোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিন শেড ভবনের স্কুল উদ্ভোধন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *