চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে বাঁচাতে অটোরিক্সা চালক স্বামীর আকুতি

প্রকাশ: ২০১৯-০৯-১৬ ২০:১১:১২ || আপডেট: ২০১৯-০৯-১৬ ২০:১১:২১

আব্বাস হোসাইন আফতাব, প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া :
অটোরিক্সা চালক আলমগীরের স্ত্রী শিরিন বেগম ও তাঁদের একমাত্র ছেলে সন্তান আলিফকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর জীবনে এমন বিপদ আসবে ভাবতে পারেনি আলমগীর। স্ত্রী শিরিনের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়তেই ভেঙ্গে পড়েন তিনি। একদিকে অভাবের সংসার অন্যদিকে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাঁর। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার সৈয়দবাড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। মো. কাউসার হোসাইন নামের গ্রামের এক যুবক আলমগীরের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মানবিক আবেদন করে ফেসবুকে পোষ্ট দেন। এর পর পরই চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসতেন থাকেন অনেকেই। শিরিন বতর্মানে ঢাকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. গিয়াস উদ্দিনের অধীনে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার দরকার হবে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সৈয়দবাড়ী এলাকার যুবক মো. কাউসার হোসাইন বলেন, “ অটোরিক্সা চালক আলমগীরের অবস্থা দেখে কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিই। পরে দেশ বিদেশ থেকে সাড়া পড়ে। তাঁকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন অনেকেই। কেউ কেউ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ফেসবুকে দেখে “সৈয়দবাড়ী সমাজ কল্যান ঐক্য সংঘ” নামে একটি সংগঠনের কিছু তরুন নারী ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় অর্থ সংগ্রহ করছেন। ”
মরিয়ম নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “ ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা সহায়তায় ফেসবুকে মানবিক আবেদন দেখে খোঁজ নিয়ে তাঁকে দুই হাজার টাকা দিই। সহায়তার অংক সামান্য হলেও আমার দেখাদেখিতে অন্যরা এগিয়ে আসবেন মনে করি ফেসবুকে টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছি।”
সরফভাটা এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক মো. সেলিম ফেসবুকে দেখে ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় ৫ হাজার টাকা দেবেন জানিয়েছেন অটোরিক্সা চালক আলমগীর ।
আলমগীর বলেন, ৩ মাস আগে এক্সরে করার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে তাঁরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে শিরিনের অপারেশন করা হয়। পরে ওই হাসপাতাল থেকে ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে ওখানে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে। এই পর্যন্ত তাঁর রোগ নির্ণয় পরীক্ষা, চিকিৎসা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর আয় খুবই সীমিত। চিকিৎসার ব্যয় মেটানো তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছেনা। ফেসবুকে মানবিক আবেদন ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই চিকিৎসা সহায়তা এগিয়ে আসছেন। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন তার পাশে থেকে সবাই যেন এগিয়ে আসেন। চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা- মো. আলমগীর, সৈয়দবাড়ী, রাঙ্গুনিয়া,চট্টগ্রাম। মুঠোফোন- ০১৬৮৮-৫৭৩৭০৭(বিকাশ), একাউন্ট নম্বর- ০৮২৪৩০১০১০৪৮৮, সোনালী ব্যাংক , রোয়াজার হাট শাখা, রাঙ্গুনিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *