চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

শফকত হোসাইন চাটগামী বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীতে ডিবি-পুলিশের যৌথ অভিযানে ৭টি অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ২০১৯-১১-০৪ ২১:২৩:৫২ || আপডেট: ২০১৯-১১-০৪ ২১:২৪:০০

বাঁশখালী প্রতিনিধি:
বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের সেইন্ন্যা পাড়া এলাকায় গন্ডামারায় নির্মিতব্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাবেক সহকারী সমন্বয়কারী বাহাদুর আলম হিরণের বাড়ীতে অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দাসহ থানা পুলিশের একটি টিম।

গতকাল (৪ নভেম্বর) সোমবার ভোরে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. মাকসুদ আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বাহাদুর আলম হিরণের বাড়ীর অদূরবর্তী গোয়ালঘর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি একে-২২, ৪টি এলজি, ১টি পাইপ গান ও ১টি একনলা বন্দুকসহ মোট ৭টি অস্ত্র, ২টি তাজা গুলি ও ২টি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর গ্রামের মো. নাজিরের পুত্র এস. এস. প্ল্যান্টের সাবেক সহকারী সমন্বয়কারী বাহাদুর আলম হিরণের বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের একটি টিম। অভিযানে বাহাদুর আলম হিরণের বাড়ীর অদূরবর্তী গোয়ালঘর থেকে ১টি একে-২২সহ ৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মাকসুদ আলম অভিযানে মো. নাজিরের বাড়ীতে কিছুই পাওয়া যায়নি মর্মে সাদা কাগজে শূন্য তল্লাশী তালিকা প্রদান করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বক্তব্য প্রদান করেছেন।

এ সময় বাহাদুর আলম হিরণ বলেন, ‘এস. আলম কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে কিছু ব্যক্তিকে অনৈতিক ভাবে খুশি করতে না পারায় শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তারা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে আমার শত্রু পক্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ অক্টোবর র‌্যাব-৭ এর একটি টিম আমার বাড়ীতে অভিযান চালায়।

অভিযানকারী দল বাড়ী তল্লাশী করে ফিরে যায়। এই নিয়ে গত ৯ অক্টোবর বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও ১৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সচিব ও পুলিশের আইজিপি, র‌্যাব প্রধানসহ বিভিন্ন দপ্তরে সাধারণ ডায়েরী এবং অভিযোগ দায়ের করেছি।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘র‌্যাবের অভিযানের ১ মাস পার হতে না হতেই ডিবি-পুলিশের একটি যৌথ টিম সোমবার ভোরে আবারো অভিযান পরিচালনা করেন। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। দীর্ঘদিন যাবৎ আমি এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।

এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলেও বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছি।’
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, ‘পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা শাখার গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ বাহাদুর আলম হিরণের বাড়ীর গোয়াল ঘরে অভিযান পরিচালনা করে। গোয়াল ঘর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী সাধারণ ডায়েরী রুজু করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রগুলো উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *