admin
প্রকাশ: ২০১৯-১১-০৬ ১৮:৫৭:১৩ || আপডেট: ২০১৯-১১-০৬ ১৮:৫৭:২১
আবদুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
রোহিঙ্গা ডাকাত দলের খোঁজে কক্সবাজারের টেকনাফের শরণার্থী শিবিরের নিকটবর্তী পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১৫। বৃহ¯পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে, বেশ কয়েকটি আস্তানা সন্ধান পায়। তবে আকাশ পথছাড়া স্থলপথে পাহাড়ি এলাকায়ও অপর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।
আকাশপথে হেলিকপ্টার অভিযানে নেতৃত্বে দেন কক্সবাজারস্থল র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। এছাড়া অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, সিপিএসসি কো¤পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, সিপিসি-১ কো¤পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব (এক্স), সিপিএসসি স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, বিএন, সিপিসি-২ কো¤পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলম।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন প্র্রথমে শরণার্থী শিবিরের নিকটবর্তী পাহাড়ে ডাকাত দলের খোঁজে ড্রোন দিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। পাহাড়গুলো এতো অনেক বড় হওয়ায় ড্রোন দিয়ে ডাকাত দলের সন্ধান পাওয়া খুবিই কষ্টকর হয়ে পরেছে।
তিনি বলেন, ফলে এবার হেলিকপ্টার দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যা¤েপর সঙ্গে লাগানো পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় হেলিকপ্টার থেকে বেশ কয়েটি দূর্গম পাহাড়ের ভেতরে ডাকাত দলের আস্তান সন্ধান পাওয়া যায়। এসব আস্তানা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পরে এসব আস্তানায় অভিযান চালানো হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অস্ত্র লুট : ২০১৬ সালের ১৩ মে হাকিম ও তার বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালিয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মুছনী রোহিঙ্গাশিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ব্যারাকে লুটপাট চালায়। এসময় গুলিতে নিহত হন ব্যারাকের আনসার কমান্ডার মো. আলী হোসেন। এসময় আনসারের ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬৭০টি গুলি নিয়ে পাহাড়ে আত্নগোপন করে হাকিম ডাকাত। পরদিন হাকিমসহ বাহিনীর ৩৫ সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় খুনসহ অস্ত্র লুটের মামলা হয়। পরে র্যাব বিভিন্ন আস্তানায় হানা দিয়ে লুন্ঠিত ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১৫টি গুলিসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। তবে হাকিম ডাকাত রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পাহাড়ে হাকিমের একাধিক আস্তানা : টেকনাফের গহীন অরণ্যে রয়েছে হাকিম ডাকাতের একাধিক আস্তানা। টেকনাফের ফকিরামুরা ও শিয়ালা গুনা,রোহিঙ্গা সংলগ্ন পাহাড়, উড়নিমুরা নামে পরিচিত গহীন বনের বিশাল এলাকায় এসব আস্তানার অবস্থান। এখানে তার বাহিনীর অন্তত অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডারেরও বসতি রয়েছে। হাকিমের সঙ্গে সব সময় দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। এছাড়া একাধিক দেহরক্ষী নিয়েও চলেন তিনি।টেকনাফ শহরের বিভিন্ন স্থানে আছে তার একাধিক সোর্স। পাহাড়ের কোন স্থানে হাকিম কখন অবস্থান করেন তা কেউ জানেন না।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একবার অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা থেকে একটি স্যাটেলাইট ফোনসেটও উদ্ধার করেছিল।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমসহ এসব পাহাড়গুলোতে কয়েটি ডাকাত দলের সদস্যরা রয়েছে। তারা খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। অতি দ্রুত তারা র্যাবের জালে ধরা পরবে।
এদিকে গত ২৫ অক্টোবর প্রথমবারে মত র্যাব হেড কোয়ার্টার থেকে ড্রোন এনে পাহাড়ি ড্রোনের ওড়িয়ে রোহিঙ্গা ডাতাদের আস্তানায় অভিযান চালায় র্যাব-১৫।