প্রদীপ শীল রাউজান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০১৯-১১-০৭ ১৭:৫৯:৫৯ || আপডেট: ২০১৯-১১-০৭ ১৮:০০:০৭
প্রদীপ শীল, রাউজানঃ
রঁশিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টার ৮মাস মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যু হয়েছে চিকদাইর শাহাদাত ফজল যুব উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রুনা আক্তারক। ৫ নভেম্বর বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুনা । সে চিকদাইর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাওলানা বদিউর রহমানের বাড়ির আবদুল মন্নানের কন্যা ।
গত ৩ এপ্রিল লাঞ্ছিতর অপমান সতেই না পারে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে দীর্ঘ ৮ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর হার মারতেই হল রুনাকে মৃত্যুর কাছে। উল্লেখ্য গত ৩ এপ্রিল নিকট আত্মীয় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকার কাজী নজরুল ইসলামের পুত্র আরিফুল ইসলাম অভি (১৫) এর সঙ্গে রুনা ঘর থেকে বের হয়ে চিকদাইর গ্রামের একটি ওরশের মেলা দেখতে গিয়েছিল রুনা।
ওই ওরশের মেলা থেকে রুনা আর অভি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা দু”জনকে এলাকার কিছু যুবক ধাওয়া করে অভি রুনাকে একটি নিরিবিলি এলাকায় ফেলে যায়। সন্ধ্যার সময় স্কুলের শিক্ষক জাকির হোসেন রুনাকে তার এলাকায় দেখে তার মা- বাবাকে খবর দেয়। স্থানীয়রা জানান, তার মা-বাবা এসে শিক্ষক জাকের হোনেরের নিকট থেকে তাকে ঘরে নিয়ে যান। রুনাকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার ঔ রাতে রুনা ঘরের পিছনে গিয়ে রঁশিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এলাকাবাসীর দাবি , রুনাকে ওই দিন অভি প্রলোভনে ফেলে অপহরণের চেষ্টা করছিল। তবে রুনার পরিবারের অভিযোগ এলাকার বখাটেরা তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করলে সে অপমান সতেই না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে যায়। এই ঘটনায় রুনা বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে স্থানীয় চার যুবকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি হচ্ছে স্থানীয় চার যুবক (১) মঞ্জুর আলম(২২),( ২) কফিল উদ্দিন(২০),(৩) মোহাম্মদ হেলাল(২০) ও (৪) মোহাম্মদ বেলাল(১৯) । তাদেন বিরুদ্ধে তদন্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিট দিলেও আসামি এখনো এলাকায় সদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছেন না।