চট্টগ্রাম, , রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব : রবিশষ্য ও আমনের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশ: ২০১৯-১১-১১ ২০:৪৩:৫৪ || আপডেট: ২০১৯-১১-১১ ২০:৪৪:০২

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :

র্ঘূণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়িতে রবিশষ্য ও আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গত শনিবার থেকে ৩ দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টি আর ধমকা হাওয়ায় এ দু উপজেলার অনেক আমন ক্ষেত শুয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কাচাঁ ধানের ক্ষেত রয়েছে বেশ। এর আগে কৃষকরা ক্ষতি গুনছিলো বাদামী গাছ পোকার আক্রমনে। এ হতাশা কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক কালো থাবা । অর্থাৎ বুলবুলের প্রভাব। ফলে কৃষকরা মরার উপর হারার ঘা’র মতো ক্ষতির মূখোমূখি হলেন।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কৃষক আবদুল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, কদিন আগে এলাকার কৃষককূল কারেন্ট পোকা নিয়ে দূ:চিন্তায় ছিলো। এ চিন্তা শেষ হতে না হতেই বুলবুল এসে পড়লো। এ বুলবুলের কারণে শনিবার থেকে বৃষ্টি ও হালকা বাতাসে ক্ষেতে প্রভাব পড়েছে অনেক। ধান ক্ষেত মাটিতে লুটে পড়েছে সর্বত্র। পাশাপাশি রবি শষ্যের একই দশা। তিনি আরো জানান, যেহেতু তার রবি ক্ষেতে রয়েছে অনেক। আর বেগুন,মরিচ সহ আরো কত কি। এর মধ্যে মূলা,বেগুন ও মরিচ চাষে তার ক্ষতি হয়েছে অনেক। যা পূরণ হবার নয়। তাই তিনি সরকারের কাছে এসব যাচাই করে কৃষকের পাশে দাড়ানোর দাবী জানান।

অপর চাষি আবদুল খালেকের একই দাবী। তিনি বলেন,হঠাৎ করে টানা বৃষ্টি-রবি ও ধান চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন,এভাবে এলাকার প্রায় সকল কৃষকের ক্ষতি হয়েছে বুলবুলের প্রভাবে।

এ প্রতিবেদক উপজেলার রামু রাবার বাগান এলাকা, গর্জনিয়া,ঈদগড় ও জোয়ারিয়ানালা সহ বেশ কয়েকটি বিল ঘুরে ধানের ক্ষেতের এ অবস্থার তথ্য পান। সর্বত্রই বাদামী গাছ পোকা ও বুলবুলের কারণে
কৃষককূলের ক্ষতি অফুরণীয় হওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান।

অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সর্বত্রই ধান ক্ষেত ও রবি ক্ষেতে বুলবুলের প্রভাব পড়েছে। বাইশারী ইউনিয়নের ধানচাষি আবদুর রশিদ জানান,তিনি খোরাকের জন্যে ১ কানি আমনের ক্ষেত করেন। বুলবুলের প্রভাবে শনিবার রাতে তার এ ক্ষেতের ধান মাঠির সাথে মিশে যায়। যা দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। কেননা তার ক্ষেতের ধান গাছ গুলো দন্ডয়মান থাকলে একশ আরি ধান হতো। এখন হবে মাত্র ৫০ আরি। কারণ এ ক্ষেত এখনও পাক ধরে নি। এভাবে উপজেলার সোনাইছড়ি,সদর,দৌছড়ি ও ঘুমঘুমের ক্ষেতে ধানের ক্ষতি হয়েছে সর্বত্র। পাশাপাশি রবি শষ্যেরও।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ওমর ফারুখ জানান,তার উপজেলায় বুলবুলের কারণে আমন ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। তবে তত বেশী নয়। বিশেষ করে পাকা ক্ষেতের ধান পড়ে গেলেও ক্ষতি হয় কম হবে। নতুবা সামান্য বেশী। তিনি আরো জানান, কৃষি উপ-সহকারীদের দেয়া তথ্য মতে উপজেলায় প্রায় ৩৪ জন কৃষকের প্রায় ৩ হেক্টর ধান ক্ষতি হয়েছে। এর আগে বাদামী গাছ পোকার ক্ষতি অনেক। যা নিয়ে সকলে দূ:চিন্তায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *