চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

কচ্ছপিয়ায় ফজরের মুসল্লীকে ফিল্ম স্টাইলে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা,পূরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৮ ২২:৩৯:০৬ || আপডেট: ২০১৯-১১-১৮ ২২:৩৯:১৩

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়ায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়া এক মুসল্লীকে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার পর পুরুষাঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে জঙ্গলে ফেলে দ্রুত ছটকে পড়ে র্দূবৃত্তরা। রক্তক্ষরণ হওয়া মুমূর্ষ এ মূসল্লিকে সোমবার সকাল ১০ টায় স্থানীয় এক মহিলা দেখে চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে গ্রামবাসী। মুমূর্ষ এ মুসল্লির নাম মনির আহমদ (৪৮)। তার পিতার নাম গোলাম কাদের।

সে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা। মনির আহমদের ১০ শ্রেণির ছাত্রী নাসরিন জাহান এ্যামি এ প্রতিবেদককে জানান,সে প্রতিদিনের ন্যায় ভোর সকালে পরীক্ষা উপলক্ষ্যে পড়তে বসে পড়ার টেবিলে। তার মা নূরতাজ বেগম স্থানীয় তুলাতলী জামে মসজিদে নামাজ পড়তে তার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে দেয়।

সূত্র আরো জানায় মনির আহমদ অজু-কালাম করে মসজিদে যাওয়ার পথে গোদা জাফরের টেক নামক এলাকা থেকে মূখে প্ল্যাষ্টার চেপে কন্ঠরোধ করে অপরহরণ করে স্বশস্ত্র একদল অপহরণকারী। দূর্বত্তরা ঘটনাস্থলের উত্তর দিকের জঙ্গলার্কীণ প্রায় সোয়াকিলোমিটার দূরে নিয়ে নজিরের ঘোনায় হত্যার চেষ্ঠা করে মনিরকে। এরই মধ্যে দফায় দফায় ছল্লা-পরার্মশ করে কী ভাবে তাকে খতম করে দেবে এ ফন্দি আঁটে সকলে। দলের কয়েকজন তাকে প্রথমে হত্যার ঘোষনা দিলেও পরে কৌশল প্রয়োগ করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্তে পৌছেঁ তারা। আর এ সিদ্ধান্তের আলোকে মাথায় আঘাত করে এবং গোড়া থেকে তার পুরুষাঙ্গ সর্ম্পুন বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তারা। আর রক্তক্ষরণের মাধ্যমে মারার জন্যে তাকে ফেলে দেয় ঝোপঁঝাড়ে।

এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়া মনির জঙ্গলের ভেতর কাউকেও কাছে পাচ্ছিলো না। আওয়াজও না। এভাবে চলে যায় প্রায় ৫ ঘন্টা। এরই মধ্যে কিষানী লালু বিবি নিজ প্রয়োজনে অন্যত্র যাওয়ার পথে মনিরের গুঙ্গানী শুনতে পায় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে

এভাবে মনিরকে দেখে লালু বিবি জোরে চিৎকার দেয়। লোকজন এগিয়ে এসে তাকে প্রথমে পাশার্বতী নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে পরে ককসবাজারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদক মনির আহমদের স্বজন নাপিতের চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরওয়ার কামাল জানায়, তারা এখনও মামলা করেনি। তারা রোগীকে নিয়ে খুবই ঝামেলায় আছেন। রোগী মনিরকে বাচাতেঁ হবে আগে। পরে মামলা বা বিচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *