চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শফকত হোসাইন চাটগামী বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীতে কাভার্ড ভ্যানে ভাসমান ফিলিং ষ্টেশনে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস

প্রকাশ: ২০১৯-১১-১৯ ১২:৫৪:৩০ || আপডেট: ২০১৯-১১-১৯ ১২:৫৪:৩৯

শফকত হোসাইন চাটগামী, বাঁশখালী :

বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়া বিল এলাকার প্রধান সড়কের পাশে ভাসমান ফিলিং ষ্টেশন বসিয়ে অবাধে সিএনজি অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। কাভার্ড ভ্যানে সিলিন্ডার ভর্তি করে ভাসমান এই গ্যাস ব্যবসা অবৈধ হলেও তারা প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেদারছে ব্যবসা চালাচ্ছিল।

এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার বিকেলে ওই ফিলিং ষ্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিষ্ফোরক অধিদপ্তর। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল্ বশিরুল ইসলাম ওই ফিলিং ষ্টেশনের সংশ্লিষ্ট দীপেশ চক্রবর্ত্তী নামের এক ব্যক্তিকে অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যবসার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কাভার্ড ভ্যানে সিলিন্ডার ভর্তি করে এই অবৈধ গ্যাস ব্যবসা বন্ধের নির্দেশও প্রদান করেন।

এদিকে বিষ্ফোরক অধিদপ্তর ও প্রশাসনের ওই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আবারো এই গ্যাস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভাসমান এই ফিলিং ষ্টেশনে।
জানা গেছে, একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চেচুরিয়া এলাকার প্রধান সড়কের পার্শ্বে লোকালয়ের অতি সন্নিকটে কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে অবৈধভাবে ভাসমান ফিলিং ষ্টেশনে এই গ্যাস ব্যবসা চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

যার ফলে যেকোন মুহুর্তে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরন ঘটে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয়রা। প্রধান সড়কের পাশেই ভাসমান ফিলিং ষ্টেশনে গ্যাস বিক্রি করায় গ্যাস নিতে আসা সিএনজি অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রধান সড়কের উপর দীর্ঘ লাইন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। একদিকে বাঁশখালী প্রধান সড়কটি অনেকাংশে সরু, অপরদিকে গ্যাস নিতে আসা গাড়ীর দীর্ঘ লাইনের ফলে স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এতে দুর্ঘটনার আশংকা করেন স্থানীয় লোকজন। ভাসমান এই ফিলিং ষ্টেশনের মালিক সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। এদিকে বিষ্ফোরক অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা আদায় এবং অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ অমান্য করে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা পুনরায় গ্যাস ব্যসা চালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল্ বশিরুল ইসলামের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *