চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

admin

টেকনাফে মাঠে নেমেছে লবণ চাষিরা : পড়ে আছে সাড়ে ১৫ হাজার মেট্টিক টন

প্রকাশ: ২০১৯-১১-২৪ ১২:৫৫:১১ || আপডেট: ২০১৯-১১-২৪ ১২:৫৫:১৮

আবদুল্লাহ মনির, টেকনাফে :

টেকনাফ উপজেলার আনাছে কানাছে এখনো হাজার হাজার মেট্টিক টন লবণ পড়ে আছে মাঠে। লবণ মালিকরা সঠিক মুল্য না পাওয়ার কারনে গত বছরের উৎপাদিত লবণ গুলো পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে মাঠের আশে পাশে মজুদ করে রেখে দিয়েছে। উৎপাদন খরচের বিপরীতে লবণের মূল্য অনেক কম হওয়ায় বিক্রি না করেই তারা ওই লবণ মওজুদ করে রেখে দিয়েছে। দেখা যায়,টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের দু,পাশে প্রচুর পরিমান লবণ মজুদ করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। ন্যায্য মুল্য না পাওয়ার কারনে গত দুই মৌসুমের মওজুদ করা লবণ এখনো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবরাং, নয়াপাড়া, নাজির পাড়া, মৌলভীপাড়া, খানকার পাড়া, জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, নীলা, বাহারছড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে লবণ উৎপাদন করার জন্য মাঠে নামতে শুরু করেছে লবণ চাষিরা।

বিসিক সুত্রে জানাযায়, গত মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫শ মেট্টিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বিক্রির পর বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে সাড়ে ১৫ মেট্টিক টন লবণ মওজুদ আছে। লবণ নিয়ে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গিয়ে দাড়িঁয়েছে খোদ কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা পর্যস্ত চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছেন।
কম মূল্যের কারণে হাজার হাজার মেট্টিক টন লবণ যেখানে অবিক্রীত পড়ে আছে। সেখানে কিছু ষরযন্ত্রকারী চক্র লবণকে পিয়াজেঁর মত কাহিনী বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

নয়াপাড়ার লবণ ব্যবসায়ী মোঃ সালাম জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ লবণের মূল্য ১শ ৯০ টাকা। তার মানে প্রতি কেজি ৫ টাকারো কম। আমাদের প্রতিমণ লবণ উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ২শ ৩৮ টাকা।ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় গত মৌসুমে মাঠ চাষিদের কাছ থেকে বেশী দামে প্রায় ৬৪ হাজার মন লবণ ক্রয় করে মওজুদ করেছিলাম। এখন লবণের দাম কমে যাওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকশান গুনতে হচ্ছে।

টেকনাফ লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিক মিয়া জানান, লবন উৎপাদনের একমাত্র ঘাঁটি হচ্ছে টেকনাফ। এই উপজেলা থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মেট্রিক টন লবন উৎপাদন করা হয়।সেই লবন গুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করে দেশের লবনের চাহিদা মেঠাতে সক্ষম হচ্ছি আমরা।অথচ লবন ব্যবসায়ীরা সঠিক মুল্য না পাওয়ার কারনে গত বছরের ১৫/১৬ হাজার মেট্রিক টন লবন এখনো পড়ে আছে মাঠে।তিনি জানান লবনের দাম কম হলেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নতুন করে লবন উৎপাদনে চাষিরা মাঠে নামতে শুরু করছে।

বিসিক টেকনাফের ইনচার্জ মো:মিজানুর রহমান জানান, টেকনাফ উপজেলায় ৩২২৭ একর জমিতে লবণ চাষ হয় । গত বছরে এক লক্ষ ১৪ হাজার ৫ শ মেট্টিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তাদের ন্যায্য মূল্য কম হওয়ায় ১৫ হাজার ৫ শ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ করে রেখেছে।এবং গত বছরের তুলনায় এবছর আরো বেশি লবণ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।তিনি আরো বলেন বিশেষ একটি শ্রেণী লবণ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে এবং সকারেক বিভ্রান্ত করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *