চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

ভ্যানে পেঁয়াজ বিক্রি করে লাখপতি !

প্রকাশ: ২০১৯-১২-১০ ২০:৩১:২৯ || আপডেট: ২০১৯-১২-১০ ২০:৩১:৩৬

নিউজ ডেস্ক:

ভ্যান গাড়িতে ফেরি করে পেঁয়াজ বিক্রি করেই লাখপতি হয়েছেন মাদারীপুরের এমারত মুন্সী। সময়ও খুব বেশি না। মাত্র একমাস পেঁয়াজের ব্যবসা করেই লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি।

বাজারের সবচেয়ে আলোচিত এই পেঁয়াজের দাম যখন আকাশচুম্বী তখনি তিনি সবজির ব্যবসা ছেড়ে পেঁয়াজের ব্যবসা শুরু করেছেন। এতে গত ছয় মাসে যতটা না তার লাভ হয়েছে তারচেয়ে অনেক বেশি মুনাফা করেছেন তিনি এক মাসে এই পেঁয়াজ বিক্রি করে।

মঙ্গলবার দুপুরের পর রাজধানীর কমলাপুরের এক মহল্লার রাস্তায় দেখা গেলো পঞ্চাষোর্ধ্ব এমারত নামের এই ব্যবসায়ী ভ্যান গাড়িতে করে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। সাইজে বেশ বড় (মিসরীয় পেঁয়াজ) এই পেঁয়াজ তিনি পাইকারি দরে কিনে এনেছেন পুরান ঢাকার শ্যামবাজার থেকে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ তিনি কিনেছেন ৭০ টাকা দরে। পরে নিজেরই ভ্যান গাড়িতে করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ফেরি করে খুচরা ৯০ টাকা দরে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তিনি।

এমারত মুন্সীর সাথে কথা বলে জানা গেল, তার বাড়ি মাদারীপুরে। আগে তিনি মৌসুমী সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু গত এক মাস ধরে ব্যবসার ধরন পরিবর্তন করেছেন তিনি। এখন প্রতিদিন সকালে শ্যামবাজার থেকে পাইকারি দরে বস্তা হিসেবে পেঁয়াজ কিনে আনেন। এর পর সকাল সকাল সেই পেঁয়াজ ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে বের হয়ে যান। প্রতিদিন তিনি ১২০ থেকে ১৬০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারেন। এতে দৈনিক তার আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মুনাফা হয়। আর এভাবেই তিনি গত একমাসে শুধু পেঁয়াজ বিক্রি করেই প্রায় এক লাখ টাকা লাভ করেছেন।

তবে লাভের সাথে কিছু ঘাটতি আছে বলেও এই প্রতিবেদককে জানান এমারত মুন্সী। শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে আনার পর সেই পেঁয়াজ বাসায় এনে বস্তা ঢেলে বাছাই করতে হয়। কিছু পেঁয়াজ নষ্ট আবার কিছু পেঁয়াজ পঁচা বের হয়। এভাবে ৫/৬ কেজি পেঁয়াজ তার প্রতিদিনই ঘাটতি যায়। তারপরেও একমাসে তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করে যে পরিমাণ লাভ করেছেন সেটা নিতান্তই কমও নয়। এক মাসে মুনাফা নিয়ে বেশ সন্তুষ্টও তিনি।

এমারতের ভ্যানে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবু বকর নামের এক ক্রেতা জানালেন, বাজারের দামের চেয়ে ভ্যান গাড়িতে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তাই আমরা ভ্যান গাড়ি থেকেই পেঁয়াজ কিনছি। দোকানেও এই পেঁয়াজ একশ টাকার কমে বিক্রি করে না। এছাড়া বাসার সামনে ভ্যান গাড়ি থেকেই পেঁয়াজ কিনতে পারছি। এটাও আমাদের জন্য একটি বড় সুবিধা। বাসাবাড়ির অনেক মহিলারাও ভ্যান গাড়ি থেকে স্বাচ্ছন্দে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশি পেঁয়াজের অপ্রতুলতায় পাকিস্তানি, মিসরীয় ও মিয়ানমারের পেঁয়াজই ক্রেতারা বেশি কিনছেন। দেশি পেঁয়াজ যদিও সীমিত পরিসরে বাজারে আসতে শুরু করেছে তবে এগুলোর দাম একটু বেশি। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজটাই এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর দাম ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে বিদেশি এই বড় সাইজের পেঁয়াজের দাম কমবেশি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *