চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

admin

এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন বিদেশী সাতারু মুকেশ

প্রকাশ: ২০১৯-১২-১২ ১৯:১৯:০১ || আপডেট: ২০১৯-১২-১২ ১৯:২৩:১৮


আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন বিদেশী সাতারু মুকেশ। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সেন্টমাটিন বঙ্গোপসাগর নিয়ে এই বাংলা চ্যানেলের অবস্থান।


বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ১৬.১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে সাঁতার শুরু করে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে সেন্টমার্টিন পৌছায়। এতে মুকেশের সময় লাগে ৪ ঘন্টা ৮ মিনিট। বিদেশী সাতারু মুকেশ বাংলা চ্যানেল জয় দিয়ে চ্যানেল সুইমিং বা লং ডিসটেন্স ওপেন ওয়াটার সি সুইমিংয়ের এলিট ক্লাবে নাম লেখায়। এর ফলে কাজী হামিদুল হকের প্রচেষ্টায় শুরু হওয়া বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ১৪ তম বছরে জয়ীদের তালিকায় ভারতীয় দূরপাল্লার সাঁতারু মুকেশ গুপ্ত।


Save Water–Save Tree (জল বাঁচাও -গাছ বাঁচাও) এই স্লোগান নিয়ে কলকাতার মুকেশ এবার সাঁতরিয়ে পাড়ি দেন বাংলা চ্যানেলের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সেন্টমার্টিন জেটির ১৬.১ কিলোমিটার পথ|


জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব সৃষ্ট দূষণের কবলে ভূ উপরস্থ পানি ও গাছপালা চরম সংকটের প্রহর থেকে একটু সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণে এই সংকট রোধ করা সম্ভব, এই বিশ্বাস থেকেই মুকেশ গুপ্ত তার এই দুঃসাহসিক বাংলা চ্যানেল সাঁতার বলে জানায়।


২১ বছর বয়সী দুরন্ত-ডানপিঠে স্বভাবের মুকেশ গুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ব্রিজে অসংখ্যবার ব্রিজ জাম্পিং করেছেন| কেবল হাওড়া ব্রিজ থেকেই ৩২ বার জাম্প দেয়ার রেকর্ড রয়েছে তার। তিনি আগামীতে আন্ত মহাসাগরীয় কায়াকিং, ভারতীয় চ্যানেলসহ আরো নতুন ও দুঃসাহসিক দূরপাল্লার সাঁতারের পরিকল্পনা ব্যক্ত করে মুকেশ গুপ্ত |

এভারেস্ট একাডেমির আয়োজনে, মুকেশের এই সাঁতার অভিযানে দিক নির্দেশনায় সাঁতার প্রশিক্ষক ও মেন্টর কলকাতার পুষ্পেন সামান্থ। রেফারির দায়িত্বে ফিফা রেফারি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু এবং নেভিগেটর ছিলেন রাফাহ উদ্দিন সিরাজী।

এই সাঁতারের সহযোগিতায় ছিলেন নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ, ট্যুর অপারেটর এলিগ্রো ট্যুরস, মেডিকেল সাপোর্ট এ হেলদি হোম বিডি এর ডাঃ মাহমুদুল হাসান খান, লাইফ গার্ড ছিলেন সি আই পি আর বি এর সি সেফ সুইমিংয়ের মো:কামাল।
তবে প্রতি বছর দেশী-বিদেশী অনেক সাতারুই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তালিকায় নাম লেখাচেছন এবং এই চ্যানেল জয়ের পরিকল্পনা করছেন| বিশ্বের যেকোনো সি চ্যানেলের তুলনায়, বাংলা চ্যানেল অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও নিরাপদ বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার এবং নানাবিধ অ্যাডভেঞ্চারের সাথে জড়িত ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই প্রথম বারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই এই আয়োজন হয়ে আচেছ এবং জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *