রফিকুল আলম ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০১-২৭ ২০:১৫:৩৩ || আপডেট: ২০২০-০১-২৭ ২০:১৫:৪০
দেশের সর্ববৃহত ফটিকছড়ি উপজেলা এখন বালি ও পাহাড়, টিলা, জমির টপসয়েল মাটি পাচারকরীদের দখলে। উপজেলার এমন কোন ইউনিয়ন নেই যে খানে মাটি ও বালি পাচার হচ্ছে না। বিভিন্ন গ্রামে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক ভর্তি করা হয়।
তাছাড়া বিভিন্ন নদী ও খালের বাধঁ পর্যন্ত মাটি খেকোরা উজার করে দিচ্ছে। আর খাল ও নদী হতে মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ হলে ও তা কেউ মেনে চলছে না। পাম্প মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে হাজার হাজার ঘন ফুট বালির স্তুপ করা হয়েছে।
প্রতি দিন সন্ধ্যা হলে উপজেলার গ্রামীন অধিকাংশ সড়ক থাকে মাটি ও বালি ভর্তি মিনি ও বড় ট্রাকের দখলে। ফলে ধারন ক্ষমতার অধিক পরিবহনের কারনে বছর না যেতে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে সড়ক। তাছাড়া সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।
এদিকে সোমবার ২৭ জানুয়ারী উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় মাটি ও বালি পাচার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সভায় গত গত ডিসেম্বর মাসে ও মাটি – বালি পাচার রোধ কল্পে নানাধিক নিয়ে আলোচনা হয় এবং কত টুকু সফলতা এসেছে এ ব্যাপারে আলোচনা করার সময় উঠে আসে উপরোক্ত পাচারের নানা তথ্য।
এ বিষয়ে উক্ত সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সায়েদুল আরেফিন বলেন,দেশের সর্ববৃহত এ উপজেলায় দিবা-রাত্রি ৫০ টি অভিযোগ আসে। ফলে গভীর রাতে ও অভিযানে যেতে হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরীক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের অস্থায়ী সেট গুলো যারা দখল করেছে;তাদের ব্যাপারে স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো: জানে আলম ,নাজরহাট পৌরসভার মেয়র এস এস সিরাজ উদ দৌল্লা,ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে রুস্তম আলী,মো: জানে আলম,হারুন অর রশিদ,ইব্রাহিম তালুকদার, শাহ নেওয়াজ,আবু তালেব,সরোয়ার উদ্দিন,মো: আবদুল হালিম,মুহাম্মদ অহিদুল আলম,ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মুহাম্মদ রফিকুল আলম,উপজেলা জাপা’র সভাপতি আবছার উদ্দিন সহ আইন শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইন শৃঙ্খলা সভা শেষে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন।