কাইছার হামিদ
প্রকাশ: ২০২০-০১-৩০ ১৯:১৮:০১ || আপডেট: ২০২০-০১-৩০ ১৯:১৮:১০
বীর কণ্ঠ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে কোনও প্রচার চালানো যাবে না। আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে।
এদিকে, শেষদিনে জমজমাট প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এদিন সবগুলো ভোটকেন্দ্রে অনুশীলন বা মক ভোটের আয়োজন করেছে।
বিধি অনুযায়ী, কোনও নির্বাচনি এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ সমন্বিতভাবে ৩০ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা হতে ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনও ব্যক্তি কোনও জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনও মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না। ওই সময়ে কোনও আক্রমণাত্মক কাজ বা বিশৃঙ্খলামূলক আচরণ করতে পারবেন না। ভোটার বা নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত বা দায়িত্বরত কোনও ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। কোনও অস্ত্র বা শক্তিও প্রদর্শন বা ব্যবহার করতে পারবেন না কেউ। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে ন্যূনতম ছয় মাস ও অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এদিকে, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ইতোমধ্যে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে। বৃহস্পতিবার থেকে ভোটের আগে ও পরে মোট ৪ দিন দায়িত্ব পালন করবেন তারা। এ ছাড়া দুই সিটিতে আরও ৫ প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। তাদের পাশাপাশি মাঠে থাকছেন পুলিশ ও র্যা ব সদস্যরা। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা টহল দেবেন। এবারের নির্বাচনে সব বাহিনী মিলে মোট ৫০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এ নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন করে ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি ও র্যা্ব। ইভিএমের কারিগরি সহায়তায় প্রতি ভোটকেন্দ্রে দুজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োগ থাকবেন।