চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

নীরব জসীম ডেস্ক কন্ট্রিবিউটর

সাহিত্যের ফেরিওয়ালা কলামিস্ট মোহাম্মদ হোসেন

প্রকাশ: ২০২০-০২-০৩ ১৯:৪১:২৬ || আপডেট: ২০২০-০২-০৩ ১৯:৪১:৩৩

জাহেদুল ইসলাম :
লোহাগাড়া উপজেলার সূখছড়ি উজিরভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কলামিস্ট মোহাম্মদ হোসেন। একাধারে লেখক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে উপজেলার সর্বক্ষেত্রে পরিচিতি রয়েছে। নবীন লেখকদের প্রেরণা ও সংগঠক হিসেবে আলোচিত। নিজে লিখেন এবং অন্যদের লিখতে উৎসাহের যোগানদাতা। সর্বত্রই সাহিত্যের ফেরিওয়ালা নামে পরিচিতি লাভ করেছে।


তাঁর নির্বাচিত কলাম, জীবনীগ্রন্থ, গভেষণামূলক গ্রন্থ ও সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ মিলে ১৫টি বই ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। বই প্রকাশের পর আর বসে না থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশিত বই গুলো বিক্রি করে থাকেন। অনেক লেখক তাঁর সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থে চমৎকার লিখছেন। এখন সবাই তাঁকে সাহিত্যের ফেরিওয়ালা নামেই চিনেন। অজপাড়া গ্রামে সাহিত্যের এক মহাআন্দোলন সৃষ্টি করে চলছেন তিনি। সাহিত্যের জন্য তিনি চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা পরিষদ ও সাহিত্যিক আবুল ফজল ফাউন্ডেশন কর্তৃত পুরস্কৃত হয়েছেন।


সাহিত্যের ফেরিওয়ালা কলামিস্ট মোহাম্মদ হোসেন লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর আখতারিয়া পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ ও লায়লা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মেঝ। বাবা ছিলেন ভুমিহীন কৃষক। মা গৃহিনী। অভাব অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠেছে তিনি। স্থানীয় তৈয়ব আশরাফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পশ, আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, ডিগ্রি ও হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে এম.কম পাশ করে শিক্ষা জীবনের ইতি টানেন। এছাড়া বি.এড সহ বহু শিক্ষামূল কোর্স শেষ করেন।


১৯৯৯সন থেকে সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকা দিয়ে শুরু, এ ছাড়া অনেক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কলাম লিখতেন। বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ পত্রিকায় তার লেখা “এইসব দিন রাত্রি” নামে কলামটি সমগ্র চট্টগ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। নির্বাচিত কলাম নিয়ে জীবনে সাত রঙ, মাটি ও মানুষ, মসজিস ব্যাংক নামে তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তিনি এখনো নিয়মিত লেখেন।


আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ হাুলশহর এলাকায় কয়েক জন বন্ধুকেসাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠ করেন হালি শহর মডেল স্কুল। তিনি উক্ত স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০৫ সনে নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠ করেন লোহাগাড়া পাবলিক স্কুল। ২০০৯ সনে যোগদেন লোহাগাড়া সদরে মোস্তফা বেগম গার্লস স্কুলে। স্কুল ক্যাম্পাসে ইব্রাহিম মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্ডেন উত্তর আধুনগরে হাজী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানেতিনি হাজী সামশুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ে আজীবন দাতা ও শিক্ষানুরাগী সদস্য।

বর্তমানে লোহাগাড়া সুখছড়ি উজিরভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া মদক, যৌতুক, বাল্য ব্বিাহরোধ ও সামজিক অনাচারের বিরুদ্ধে কাজ করে চলছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *