চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আব্দুল্লাহ আল শাকিব, চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চকরিয়ায় দুম্বার মাংস বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ: ২০২০-০২-১৪ ২২:৫৮:১৭ || আপডেট: ২০২০-০২-১৫ ০০:০৫:১২


আব্দুল্লাহ আল সাকিব, চকরিয়া :


কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুম্বার মাংস বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সৌদি আরব থেকে আসা দুম্বার মাংস অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে সামান্য বিতরণ করলেও বেশিরভাগ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফলে বুধবার সকাল দশটায় বিতরণ করা কোনো মাংসই প্রকৃত গরিব-দুস্থদের ঘরে পৌঁছেনি। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


চকরিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের হতদরিদ্র ও অসহায় দুস্থদের জন্য সৌদিয়া সরকার কর্তৃক দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের জন্য এক হাজার প্যাকেট দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী সকাল দশটায় উপজেলা প্রশাসনের সামনে একটি কার্ভাডভ্যান বরাদ্দকৃত দুম্বার মাংস নিয়ে আসেন। এরআগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একটি তালিকা তৈরী করেন। তালিকা অনুযায়ী উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১টি পৌরসভা, এতিমখানা ও আশ্রয়ন কেন্দ্র গুলোতে মোট ৬০৩টি প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

আরও ৩৯৭টি দুম্বার মাংসের প্যাকেটের সঠিক হিসেব দিতে পারছে না। তাছাড়াও বরাদ্দকৃত দুম্বার মাংস গরীব, দুস্থ ও এতিমদের মাঝে সামান্য বিতরণ করলেও বেশির ভাগ নিজের লোকদের ঘরে পৌছে দিয়েছেন। এমনকী অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরেও দুম্বার মাংস পৌছে গেছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অসহায় গরীব ও এতিমদের মাঝে।


স্থানীয়রা জানান, গরীব, এতিম ও দুস্থদের কাছে দুম্বার মাংস সরাসরি পৌছে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধি, অফিসার, অফিস সহায়করাই বরাদ্দকৃত দুম্বার মাংস অত্র উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মী ও অফিসের মধ্যে বণ্টন করেন। অন্যদিকে যাদের বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এসব দুম্বার মাংস তাদের ঘরে নিয়ে গেছে।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক কর্তৃক এক হাজার প্যাকেট দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ, একটি পৌরসভা, এতিমখানা, আশ্রয়নকেন্দ্র ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অফিসিয়ালভাবে আমার সহকারিকে দায়িত্ব দিয়ে দুম্বার মাংস বিতরণ করেছি। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে আমার জানা নেই বলে তিনি জানান।


চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মো: শিবলী নোমান বলেন, দুম্বার মাংস বিতরণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস থেকে নিজেরাই বিতরণ করেছে। এক হাজার প্যাকেটের মধ্যে ৬০৩টি প্যাকেট বিতরণের বিষয়টি পিআইও’র সাথে কথা বলে জানানো হবে।


চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুকছুদুল হক ছুট্টো বলে, দুম্বার মাংস কী পরিমান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা সঠিক জানি না। তবে বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে আমি শুনেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *