আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ(কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৪ ২০:০৮:৩৩ || আপডেট: ২০২০-০৩-০৪ ২০:০৮:৪১
আব্দুল্লাহ মনির, টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফে শরণার্থী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পাহাড়ে বন্দুকযুদ্ধে ৭ রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন র্যাবের হেডকোয়ার্টারের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এবং ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বিপিএম পি এসি এসসি ।
এসময় সাথে ছিলেন কক্সবাজার র্যাব১৫ এর ইনচার্জ মেজর আজিম আহমেদ।
(৪ মার্চ) বোধবার সকাল ১১ টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হেলিকপ্টার যোগে অবতরণ করলে, তাঁহাকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন
টেকনাফ র্যাব ১৫ এর ইনচার্জ মির্জা শাহেদ মাহতাব।এসময় র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন
পরে তিনি টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা, শালবাগান, পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে গত সোমবার র্যাব
ও ডাকাতের গোলাগুলিতে ৭ রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনাস্থল জান। সেখান থেকে ২৬ ও ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লে: কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন,আমরা রোহিঙ্গাদেরকে মানবতার তাগিদে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছি যা পুরো বিশ্বের মধ্যে আমাদের সুনাম অর্জন করেছি। তাই বলে এই নয় যে তারা ডাকাতি, মাদক, সন্ত্রাসী,গুম, খুন অপকর্মে লিপ্ত হবে তা তো হতে পারে না।
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যতই বড় শক্তিশালী হোক না কেন শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে জনান তিনি।
পরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য গত সোমবার ভোরে জাদিমোড়া পাহাড়ে কুখ্যাত ডাকাত জকিরের সন্ধানের খবরে পেয়ে তিনিসহ র্যাবের একটি দল ওই ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালান। এ সময় পাহাড় থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ডাকাত দল। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
এসময় দফায় দফায় ডাকাত দলের সাথে প্রায় ৭০/৮০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয় এতে ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। এবং ঘটনাস্থল থেকে ৭ টি এলজি অস্ত্র, ৩ টি ৯ মি: মি পিস্তল, ১২ রাউন্ড পিস্তলের কাতুজ ও ১৩ রাউন্ড এলজি কার্তুজ উদ্ধার করা হয় ।