চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি

রামুর গর্জনিয়ায় ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

প্রকাশ: ২০২০-০৪-০৪ ১৮:৪৬:১৫ || আপডেট: ২০২০-০৪-০৪ ১৮:৪৬:১৯

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নে গত ১২ ঘন্টার ব্যবধানে দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে। অপরটি একই ইউনিয়নের ক্যায়াজর বিল গ্রামের বলে জানা গেছে। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর এসআই হুমায়ুন কবির জানান,মাঝির কাটা বেলতলী এলাকার মনোয়ারা বেগম (৪৫) স্বামী শাহ আলমের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের বরাত দিয়ে প্রাথমিক ভাবে এ খবর নিশ্চিত করেন পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের বড় ছেলে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন. রাত ১০ টার দিকে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আমার বাবা শাহ আলমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় মা মনোয়ারা বেগমের। রাত দেড়টার দিকে ঘরের বারান্দার তীরের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাবা ও ছোট ভাই মহিউদ্দিন দেখে রশিটি কেটে আম্মাকে উদ্ধার করেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নের ক্যাজরবিলের এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্য। হত্যা না আত্মহত্যা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে। জানা গেছে কৃষক নুর আহমদের ছেলে মাহাবুবুল আলম (৩০) প্রতিদিনের ন্যায় পার্শ্ববর্তী তাদের তরমুজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছিল। ওই সময় হঠাৎ কৃষক মাহাবুবুল আলম তরমুজ ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জন্নাত আরা নামের এক মহিলা। তার কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকার লোকজন তাকে মুমূর্ষাবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় গর্জনিয়া বাজারে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় মেম্বার মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন চোরের দল তরমুজ ক্ষেত থেকে চুরি করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ায় তাকে হত্যা করা হতে পারে। তিনি কচ্ছপিয়া নাপিতের চরে একটি এন টি আইসি নামের সংঘঠনের নেতার ইন্ধনে হতে পারে বলে জানান। কারণ এর আগে মাহাবুব তার কাছে তরমুজ চুরের বিচার দিয়ে ছিল। পুলিশ বলছে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ঘটনার রহস্য উদঘাঠন করা হবে বলে জানান গর্জনিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান। এছাড়াও সন্দেহ ভাজনদের প্রকাশ্যে ও গোপনে জিজ্ঞাসাবাদ ও চলছে। তবে সচেতন এলাকাবাসীর প্রশ্ন এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এ নিয়ে নানা রহস্যাদি সৃষ্টি হয়েছে। গর্জনিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান মাহাবুবুল আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে ৪ এপ্রিল স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। মনোয়ারা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। তিনি গর্জনিয়ার এ দুই ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনেরকাছে দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *