মিজবাউল হক চকরিয়া অফিস
প্রকাশ: ২০২০-০৪-০৯ ১৯:২৫:৪৭ || আপডেট: ২০২০-০৪-০৯ ১৯:২৫:৫১
মিজবাউল হক, চকরিয়া : সৌদি আরবে থাকা কক্সবাজারের অর্ধশত প্রবাসী করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছে বলে জানা গেছে। সৌদি আরবের মক্কা এবং জেদ্দায় থাকা বেশকয়েক জন প্রবাসীর দেয়া তথ্য মতে সৌদি আরবে বর্তমানে কারফিউ চলছে এর মধ্যে করোনা ভাইরাসও বেশ বিস্তার ঘটছে। ইতিমধ্যে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে এছাড়া রাষ্ট্রীয় ভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনে আছে অনেকে।
এরমধ্যে কক্সবাজারের স্থায়ী বাসিন্দা অন্তত অর্ধশত হবে বলে জানান তারা। এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালীর ২ জন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রবাসী বলেন, এখানে গত ১৮ দিন ধরে ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থায় আছি এর মধ্যে অনেকেরই শরীরের সর্দি ঠান্ডা লেগেছে। সে কারনে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তাররা আমাদের স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে একটি বিশেষ জায়গায় রেখেছে এখানে এসে দেখছি অসংখ্য রোগি এখানে আগে থেকে আছে। আমরা সত্যি খুবই আতঙ্কিত জানিনা কখন কি হয়। তবে দেশে যেভাবে সরকার খাদ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে এখানে আমাদের কিছুই দেওয়া হচ্ছেনা।
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থানরত রমজান বলেন, আমরা এখানে দোকানে চাকরী করি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারনে গত ১৫ দিন ধরে ঘরে আছি এর মধ্যে আমাদের দোকানের ১৬ জন কর্মচারী এক রুমে থাকি। তাই সার্বক্ষনিক রুমে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে অনেকে। আমি নিজেও অসুস্থ্য স্থানীয় ভাবে ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিয়ে খেয়েছি। এখন অনেক ভাল লাগছে। এখানে বাইরের খবর নেওয়া যাচ্ছে না। তাই কোথায় কি হচ্ছে কেউ বলতে পারবেনা। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি আমাদের বাংলাদেশের অনেক লোক মারা গেছে এবং অর্ধশতাধিক লোক সরকারি ভাবে আইসোলেশনে আছে।
আর যারা আইসোলেশনে আছে। তাদের কি চিকিৎসা হচ্ছে বা কি করছে সেটাও কেউ বলতে পারবা না। এখানে করোনা রোগিদের জন্য সরকার আলাদা হাসপাতাল করেছে। সেখানে কাউকে যেতে দেয় না। এদিকে কক্সবাজার পিএমখালীর বজল কোম্পানী বলেন, আমার ২ ভাই সৌদি আরবে থাকে। তারা কিছুদিন ধরে সর্দি জ¦রে ভুগছে তাই তারা সৌদি আরবের হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে তাদের কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে গেছে। তবে তাদের কি পরীক্ষা করা হচ্ছে বা কি ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেটা আমরা জানিনা।
এদিকে রামুর চাকমারকুল এলাকার হাজী আবদুর রহমান বলেন, আমার ছেলে মদিনায় থাকে সেখানে একটি কারখানায় কাজ করে কিছুদিন ধরে সব কিছু বন্ধ থাকায় রুমে সর্দি কাশি হয়েছে। এখন শুনেছি স্থানীয় পুলিশ এবং ডাক্তার এসে তাকে কোথায় নিয়ে গেছে কোন যোগাযোগও করতে পারছিনা আমার খুব ভয় লাগছে। তিনি জানান শুনেছি অনেক বাংলাদেশে সেখানে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।