মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০২০-০৪-২৮ ০৯:০৩:২২ || আপডেট: ২০২০-০৪-২৮ ০৯:০৩:২৬
মো.জয়মাল আবেদীন টুক্কু:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আরো একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই নিয়ে ধুম্রজাল তৈরী হয়েছে। হদীস পাওয়া যাচ্ছেনা রোগীর।
সোমবার (২৭এপ্রিল) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হওয়া আলম আরা নামে নারী বলছেন তিনি করোনা পরীক্ষা করেননি এবং নমুনাও কেউ সংগ্রহ করেননি।
এই নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ জুড়ে তোলপাড় তৈরী হয়েছে। রোগী সনাক্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাদ্বন্ধে পড়ে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত রবিবার নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক নারীর শরীরে করোনা সন্দেহ হলে ল্যাব টেকনিশিয়ান এ্যানি চাকের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করেন কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার অভিজিত চক্রবর্তী।
পরে ওই নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হলে সোমবার (২৭এপ্রিল) বিকালে টেষ্টে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ল্যাবে পাঠানো নমুনা কালেকশন কপিতে ওই নারীর নাম উল্লেখ ছিল আলম আরা এবং স্বামীর নাম ছিল জামাল হোসেন।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়িতে আরো একজন করোনা শনাক্ত হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যাক্তির বসতবাড়ি ও আশপাশের এলাকার অবস্থা জানতে চান।
আর সেখানেই তৈরী হয় ধুম্রজাল। আলম আরার বিষয়ে এলাকায় খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় তিনি সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতালে যাননি এবং কেউ তার নমুনাও সংগ্রহ করেননি।
করোনা আক্রান্তের তালিকায় কিভাবে তার নাম এলো তিনি জানেনা।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এই প্রতিবেদককে জানান- রবিবার হাসপাতালে জান্নাতুল হাবিবা নামে এক নারী চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। হাসপাতালে তিনি নিজের প্রকৃত নামের পরিবর্তে আলম আরা এবং মোবাইল নাম্বারটি তার নিজের স্বামীর লিপিবদ্ধ করেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জামাল হোসেনের স্ত্রী আলম আরা হাসপাতালে যাননি বলে দাবী করছেন। তারা উভয়ে সম্পর্কে আত্মীয়।
রোগী নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা আবু জাফর মো: ছলিম জানান- করোনাক আক্রান্ত হয়েছে ঠিক। তবে আক্রান্ত ব্যাক্তি নিজের নাম গোপন করার কারনে এই সমস্যা তৈরী হয়েছে। এখানে হাসপাতালের কারো ব্যর্থনা নেই।
জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন- আলম আরা নামে দুজনের বাড়িই লকডাউন করা হয়েছে। যেহেতু তাদের মধ্যে কেউ তথ্য গোপন করছে তাই আবারো নমুনা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লখ্য এর আগে বান্দরবানের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীটিও ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামের। ওই রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে আইসোরেশনে রাখা হয়। ১০ দিন পর গত রবিবার তিনি বাড়ি ফিরেছেন।