চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

admin

হাটহাজারী লকডাউন: অসচেতনতায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা

প্রকাশ: ২০২০-০৫-১৭ ১৮:২০:২১ || আপডেট: ২০২০-০৫-১৭ ১৮:২০:২৫

হাটহাজারী প্রতিনিধি | 

লকডাউনেও শুধু স্বাস্থ্যবিধি  সম্পর্কে অসচেতনার কারণেই হাটহাজারীতে ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতি করোনা ভাইরাস। এ পর্যন্ত উপজেলার ২৬ জনের শরীরে এ ভাইরাসে উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে।এমনকি প্রাণ গেছে একজনের। আক্রান্তের তালিকা থেকে বাদ যায়নি স্বাস্থ্যকর্মীও।

প্রশাসনের তৎপরতার পরও এলাকাবাসী হচ্ছে না সচেতন, মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। ফলে দিনদিন সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা বেড়েই চলছে হাটহাজারীতে। 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে করোনা শনাক্তের আগেই দেয়া হয়েছে লকডাউন। লকডাউনের আগে থেকেই দুজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে চলছে সচেতনতাসহ বিভিন্ন অভিযান । কিন্তু সাধারণ মানুষ সচেতন হচ্ছেই না, বরং প্রশাসনের সাথে চোর পুলিশ খেলছে। এরই মধ্যে হাটহাজারীতে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে হাটহাজারী পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নারী পুরুষ শিশুসহ ২৬ জন। এর মধ্যে পৌর এলাকা ও গুমানমর্দন ইউনিয়নের দুই পরিবারের ১০জন। সেবা দিতে গিয়ে বাদ পড়েনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা, পরিচ্ছন্নকর্মী, এ্যাম্বুলেন্স চালক কেউই।

ইতিমধ্যে মারা গেছে করোনায় আক্রান্ত শিরু আক্তার (৩২) নামে এক নারী। আক্রান্তের মধ্যে তিনিই প্রথম নারী হাটহাজারীতে। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলশনে এবং ১জন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাকিরা হোম আইসোলশনে আছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন।

অসচেতনার কারণেই দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন অজুহাতে মাছ, মাংস, কাঁচা বাজারে অবাধ যাতায়াত। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাপড়ের দোকানে ঈদ বাজার। বার বার অভিযানের পরও কারো টনক নড়ছেনা। দোকানি এবং ক্রেতা কেউই মানছেন না বিধি নিষেধ।

এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত হারে বাইরে বের হবার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কাপড়ের দোকান খোলা রাখার কারণে ২৫ টি দোকানকে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। অনেক দোকানে তালা মেরে দিয়েছি। কিন্তু তাতেও মানুষ সচেতন হচ্ছেনা। যার পরিণাম হাটহাজারীতে গতকালই ১৩জন আক্রান্ত।

তিনি আরো বলেন, করোনা হলে ঘর থেকে বের হতে পারবেনা এ ভেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মানুষের বাড়ি বাড়ি গেলেও নমুনা সংগ্রহ করতে দিচ্ছেনা। আগামীকাল থেকে আবারো ওষুধের দোকান, মুদির দোকান (খাবার দোকান) ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *