চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাহেদুল হক আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আতঙ্ক, প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশ: ২০২০-০৫-২০ ০১:১৬:১৭ || আপডেট: ২০২০-০৫-২০ ০১:১৬:২১


জাহেদুল হক, আনোয়ারা|
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ ধেয়ে আসার খবরে আনোয়ারা উপকূলবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা ঘূর্ণিঝড়টির সার্বক্ষণিক গতিবিধি জানার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন উপজেলার উপকূলবর্তী বাসিন্দারা।


এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দুর্যোগকালে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলার স্থায়ী ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বিকেল থেকেই আনোয়ারার আকাশে মেঘ ঘণীভূত হচ্ছে। বইতে শুরু করেছে হালকা বাতাস। সেই সাথে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে উপকূলীয় এলাকায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। বিশেষ করে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।


মঙ্গলবার বিকেলে রায়পুর ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,ঝড়ের সংকেত জানিয়ে বিশেষ বিশেষ স্থানে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সতর্ক করে উপকূলের বিভিন্ন স্থানে চলছে মাইকিং। আম্পান মোকাবিলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া উপজেলার সব ধরনের মাছ ধরার নৌযানগুলো উপকূলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জামিরুল ইসলাম জানান,উপজেলার ৫৮টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। একই সাথে মানুষ তাদের গবাদি পশুও নিয়ে আসতে পারবেন আশ্রয়কেন্দ্রে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানা বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝড় আঘাত হানলে মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয়,আর হলেও যেন সামান্য পর্যায়ে থাকে সে জন্য প্রস্তুতি রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *