চট্টগ্রাম, , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin

জামিনে মুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা

প্রকাশ: ২০২০-০৮-২৮ ১১:০৯:২১ || আপডেট: ২০২০-০৮-২৮ ১১:০৯:২৬

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার|

দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিন পর জামিনে কারামুক্ত হলেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। এ সময় স্ত্রী হাসিনা আকতার, বোন ফাতেমা আকতার বেবি, সালমা আকতার, মেয়ে সোমাইয়া মোস্তফা, ছেলে শাহেদ মোস্তফা, সাজেদুল মোস্তফাসহ স্বজনেরা ফরিদকে বরণ করে নেন। ফরিদুল মোস্তফার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপার মোকাম্মেল হোসেন।

এর আগে দুপুরে টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-এসটি ২৮১/২০২০, জিআর-৫৭৭/২০১৯ শুনানি শেষে পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ফরিদকে জামিন দেন যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান।

মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী, সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল মন্নান ও এডভোকেট রেজাউল করিম রেজা। মামলাটির বাদী ছিলেন টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা আবুুুল কালাম আজাদ। ঢাকার বাসা থেকে ধরে এনে সাজানো অস্ত্র, বিদেশি মদ ও ইয়াবার মামলা থেকে বুধবার (২৬ আগস্ট) জামিন দেন কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।

মেজর (অবঃ) সিনহার হত্যা মামলায় আসামী টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সর্বশেষ তিনটি মামলার তাকে আসামী বানিয়েছিলেন। ফরিদুল মোস্তফা খানের পক্ষে নিযুক্ত প্রধান আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান  বলেন, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ফৌজদারী মিস মামলার মূলে জি.আর ১০২৫/২০১৯, (অবৈধ দুইটি অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি) এবং জি.আর ১০২৬/২০১৯ (৪ হাজার পিচ ইয়াবা) পুলিশের সাজানো মামলা দুইটি শুনানী শেষে বুধবার জামিন দেন বিজ্ঞ বিচারক।

এই মামলা দুইটি ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়ের করেছিল পুলিশ। এর আগে গত ১ মার্চ জি.আর ১০২৭/২০১৯ (বিদেশি মদ উদ্ধার) মামলায় জামিন প্রদান করেন একই আদালত। তিনি আরো জানান, টেকনাফ থানার বরখাস্ত কিতো ওসি প্রদীপের দালাল মৌলভী মুফিজ ও জহিরের গায়েবি চাঁদাবাজির মামলা (টেকনাফ থানা মামলা নং-১১৫/২০১৯, ৩০ জুন ২০১৯) থেকে গত ১৩ আগস্ট জামিন প্রদান করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রাজজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

এছাড়া ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-৪২/২০১৯ (জি.আর ৭৭৮/২০১৯) থেকে ১৯ আগস্ট জামিন প্রদান করেন টেকনাফের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ। এ নিয়ে ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬টি মামলারই জামিন হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *